যাত্রা শুরু জিটিএ-র
সাড়ে চার বছর পর ফের পাহাড়ের উন্নয়নের দায়িত্ব ন্যস্ত হল নির্বাচিত কর্তৃপক্ষের কাঁধে। দার্জিলিংয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক বিমল গুরুং-সহ জিটিএ-র এগজিকিউটিভ ও নির্বাচিত ৪৫ জন সদস্য শপথ নিলেন শনিবার। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন।
সাড়ে চার বছর পর ফের পাহাড়ের উন্নয়নের দায়িত্ব ন্যস্ত হল নির্বাচিত কর্তৃপক্ষের কাঁধে। দার্জিলিংয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক বিমল গুরুং-সহ জিটিএ-র এগজিকিউটিভ ও নির্বাচিত ৪৫ জন সদস্য শপথ নিলেন শনিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের উপস্থিতিতে এদিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ দার্জিলিং চৌরাস্তায় শুরু হয় জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। জিটিএ মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পদে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুংকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। অন্যান্য মন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় সরকারি আধিকারীকদের সঙ্গে মঞ্চে হাজির ছিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ জশবন্ত সিংও।
এদিন জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাহাড়ের জন্য একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং ম্যালের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাহাড়ে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়বে। একই সঙ্গে ৩টি আইটিআই, দুটি পলিটেকনিক, সৈনিক স্কুল এবং হাসপাতাল তৈরি হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। তবে এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরেও ছিল পৃথক গোর্খাল্যান্ডের সুর। শপথ নেওয়ার আগে মোর্চার নির্বাচিত সদস্য বিনয় তামাং বলেন, তাঁদের আসল লক্ষ্য গোর্খাল্যান্ড। বক্তৃতা দিতে গিয়ে গোর্খাল্যান্ডের ভাই-বোনেরা বলে সম্বোধন করেছেন বিমল গুরুং। তার উত্তরে দর্শকাসন থেকে বারবার উড়ে এসেছে জয় গোর্খাল্যান্ড স্লোগান। এই পরিস্থিতিতে মঞ্চে বলতে উঠে মোর্চা নেতৃত্বের কাছে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে না যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবারই দার্জিলিং পৌঁছোন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই দার্জিলিং পৌঁছোন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিং। সন্ধ্যায় দার্জিলিংয়ের একটি হোটেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং ও সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। ওই হোটেলেই মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। পরে শিন্ডে জানান দার্জিলিংয়ের উন্নয়নের জন্য রাজ্য ও জিটিএকে সবরকম সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। জিটিএর ৪৫টি আসনের সবক`টিতেই জয়ী মোর্চা। তারমধ্যে ২৮টি আসনে সম্পূর্ণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়। ৪৫ জন নবনির্বাচিত সদস্যকে নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসে গোর্খা নেতৃত্ব। সেখানেই জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হিসেবে মনোনীত হন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো। জিটিএ-র চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হন প্রদীপ প্রধান।