বর্ধমান কাণ্ড: তল্লাসিতে আল জেহাদের গানের টেপ, আল কায়দার প্রশিক্ষণ ভিডিও, কোনদিকে জঙ্গীযোগের ইঙ্গিত?
বর্ধমান বিস্ফোরণে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়িতে বড়সড় নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। যদিও তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও এনআইএ-কে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। রাজ্যবাসী যখন উত্সবে মজে তখন বর্ধমানের এক ভাড়াবাড়িতে তৈরি হচ্ছিল মৃত্যুবাণ।
ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমান বিস্ফোরণে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে বানানো হচ্ছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়িতে বড়সড় নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। যদিও তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও এনআইএ-কে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। রাজ্যবাসী যখন উত্সবে মজে তখন বর্ধমানের এক ভাড়াবাড়িতে তৈরি হচ্ছিল মৃত্যুবাণ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পরপরই খাগড়াগড়ের সেই ভাড়াবাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু না ফাটা হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করে পুলিস। হ্যান্ড গ্রেনেডগুলি দামোদরের চরে নিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়। তাদের না জানিয়েই, কেন দামোদরের চরে তড়িঘড়ি হ্যান্ড গ্রেনেডগুলি নিষ্ক্রিয় করা হল তা নিয়ে গোড়াতেই সরব হন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। পরে দামোদরের চরে গিয়ে বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। যদিও নিয়ম মেনেই সবকিছু করা হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের।
দামোদরের চরে রেড অক্সাইড, বারুদ এবং একাধিক রাসায়নিকের খোঁজ পেয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা দেখে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হ্যান্ড গ্রেনেডগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। বর্ধমানকাণ্ডে রবিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। সেই রিপোর্টে তদন্তের গতিপ্রকৃতি ছাড়াও রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে রাজ্য পুলিস যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এনআইএ-কে সাহায্য করেনি।
স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হ্যান্ড গ্রেনেড ছাড়াও, খাগড়াগড়ের বাড়িতে উদ্ধার তথ্যপ্রমাণ জঙ্গিযোগের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। আলকায়দা ও মুজাহিদিনের সমর্থনে লেখা আধপোড়া নথি তো রয়েছেই। তা ছাড়াও মিলেছে,
আল জেহাদের গানের টেপ
আল কায়দার প্রশিক্ষণের ভিডিও
একই ব্যক্তির একাধিক ভোটার কার্ড
উদ্ধার হয়েছে কেমিস্ট্রির বই
মিলেছে চুয়াল্লিশ রকমের রাসায়নিক
লেদ কারখানারও হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা
এইসব তথ্যপ্রমাণ জঙ্গিযোগের ইঙ্গিতই দিচ্ছে। কিন্তু কোন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজনরা? বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের পাশাপাশি উঠে আসছে সিমির নামও। জেলবন্দি সিমি নেতা সাফদার নাগোরির সঙ্গে সন্দেহভাজনদের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিস্ফোরণে মৃত শাকিল গাজি বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে সিআইডি। তাই জোরালো হচ্ছে বাংলাদেশ যোগের সম্ভাবনা।