দামোদরের গ্রাসে বিঘের পর বিঘে জমি, গলসীতে সর্বস্বান্ত কৃষকরা
দামোদরের গ্রাসে চলে গেছে বিঘের পর বিঘে ধান জমি। গলসীর রামগোপালপুরের বহু কৃষক এখন সর্বস্বান্ত। গ্রামবাসীরা বলছেন, অন্তত ৮০০ বিঘে চাষের জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। অবৈধ বালি তোলার জন্য কৃষকরা জমিজিরেত হারালেও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি।
দামোদরের গ্রাসে চলে গেছে বিঘের পর বিঘে ধান জমি। গলসীর রামগোপালপুরের বহু কৃষক এখন সর্বস্বান্ত। গ্রামবাসীরা বলছেন, অন্তত ৮০০ বিঘে চাষের জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। অবৈধ বালি তোলার জন্য কৃষকরা জমিজিরেত হারালেও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি।
ভাঙন কেড়ে নিয়েছে জীবনের সব সম্বল। জমি থেকে বাড়ি সবই চলে গেছে ভাঙনের গ্রাসে। বর্ধমানের গলসী থানার রামগোপালপুর এলাকার বাস্তবটা এখন এটাই। নবখণ্ড, বীণপুর এবং কমলপুর এই তিনটি গ্রামের চাষের জমিই এখন ভাঙনে কবলে। অবৈধভাবে বালি তোলার কারণেই এই ভাঙন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রতিদিনই প্রায় ট্রাকে করে বালি তুলে নেওয়ার ফলে ওই জায়গায় নদের জল এসে ধাক্কা খাচ্ছে। আর তাতেই ভেঙে যাচ্ছে নদীবাঁধ।
ভাঙনের ফলে জমি হারিয়ে বেশিরভাগ গ্রামবাসীই এখন স্বহায়সম্বলহীন। নিজেদের সুবিধের জন্য বালি মাফিয়ারা রিং বাঁধ তৈরি করে বালির বস্তা ফেলে সেতু তৈরি করছে। ফলে ক্রমেই উঁচু হয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়ার সোনামুখী এলকার নদী গর্ভ। বদলে যাচ্ছে নদীর প্রবাহ পথও। আর নদীর সব জলই ঢুকে পড়ছে রামগোপালপুর এলাকায়।
ভাঙন রুখতে বাম সরকারে সময়ে নেওয়া হয়েছিল একটি মাস্টার প্ল্যান। তবে নতুন সরকারের আমলে সেই মাস্টার প্ল্যান কার্যকর হয়নি। গলসী এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।