হেরে যাওয়ার পরেও বাম-কংগ্রেস জোট কি থাকছে?
বিধানসভাতেও জোটবদ্ধ লড়াই জারি থাকবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরোধিতাই লক্ষ্য বাম-কংগ্রেসের। জানালেন আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা।
ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভাতেও জোটবদ্ধ লড়াই জারি থাকবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরোধিতাই লক্ষ্য বাম-কংগ্রেসের। জানালেন আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা।
নির্বাচনের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াই। সাফল্য আসেনি। এর পরই প্রশ্ন ওঠে জোটের ভবিষ্যত্ নিয়ে। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের অন্দরেও ভবিষ্যতে জোট কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়ে যায়। তবে দু' পক্ষের নেতারাই স্পষ্ট করে দেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াই জারি থাকছে।
এরপর এক সঙ্গে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেয় বাম ও কংগ্রেস। ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভও জোটবদ্ধভাবেই। এমনকি দুই দলের নেতারাও যৌথভাবে বয়কট করেন নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
বিধায়কদের শপথের দিনও বাম-কংগ্রেস নেতারা ফের স্পষ্ট করে দিলেন, বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে জোটবদ্ধ লড়াই জারি থাকবে।
রাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিধানসভায় ঢুকতে একটু হলেও কি খারাপ লাগছে? প্রশ্ন শুনেই সতর্ক সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
শপথেও জোট বার্তা নজরে এলো। শনিবার তৃণমূল নেতাদের মধ্যেই নাম ডাকা হয় কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নানের। কিন্তু তিনি যাননি। একই ভাবে তৃণমূল নেতাদের মধ্যেই নাম ডাকা হয় সিপিএম নেতা মানস মুখার্জিরও। তিনিও তখন যাননি। পরে এক সঙ্গে শপথ নেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিরোধী দলনেতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আব্দুল মান্নান। আর পরিষদীয় নেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে সুজন চক্রবর্তী। সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে দু-একদিনের মধ্যেই। তবে বিধানসভার ভিতরে সরকার পক্ষকে কোণঠাসা করতে বিরোধীরা যে একযোগে ঝাঁপাবে, তা শপথের দিনই স্পষ্ট করে দিলেন আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা।