সুন্দরবনে সরকারের ইকোটুরিজম হাবের পরিকল্পনায় আতঙ্কে পরিবেশবিদরা
সুন্দরবনের ঝড়খালিতে হবে ইকোটুরিজম হাব। থাকবে হেলিকপ্টারে সুন্দরবন দেখার সুযোগ। পর্যটকদের জন্য প্রায় ১০০ একর জমিতে তৈরি হবে রিসর্ট। থাকবে নেচার পার্ক, ওপেন এয়ার থিয়েটার, স্পা, ফুড কোর্ট, ক্রাফট ভিলেজ। মঙ্গলবার এই পরিকল্পনার কথা শোনালেন পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।
সুন্দরবনের ঝড়খালিতে হবে ইকোটুরিজম হাব। থাকবে হেলিকপ্টারে সুন্দরবন দেখার সুযোগ। পর্যটকদের জন্য প্রায় ১০০ একর জমিতে তৈরি হবে রিসর্ট। থাকবে নেচার পার্ক, ওপেন এয়ার থিয়েটার, স্পা, ফুড কোর্ট, ক্রাফট ভিলেজ। মঙ্গলবার এই পরিকল্পনার কথা শোনালেন পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।
তবে সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব পরিবেশবিদরা। রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পর্যটন `টপ প্রায়োরিটি।` পাহাড়ে পর্যটন ব্যবস্থার উন্নতিতে সচেষ্ট হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এবার সরকারের টার্গেট সুন্দরবন। বেসরকারি সংস্থার সাহায্যেই এ কাজটা করতে চাইছে সরকার। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আরও জনপ্রিয় করতেই সরকারের এই উদ্যোগ বলে দাবি পর্যটনমন্ত্রীর।
অন্যদিকে, এই পরিকল্পনাকে অবাস্তব বলে দাবি করেছেন পরিবেশবিদরা। ডব্লিউ ডব্লিউ এফ-এর সুন্দরবন প্রধান অনুরাগ দন্ড জানিয়েছেন, কোস্টাল জোন রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী সুন্দরবনে এধরণের প্রকল্প করা অসম্ভব। শব্দদূষণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের সম্ভাবনা থাকায় হেলিকপ্টার চালানো সম্ভব নয় বলেই মনে করেছেন পরিবেশবিদরা। একই আশঙ্কা প্রাক্তন অধিকর্তা শক্তি ব্যানার্জিরও।
সরকার অবশ্য পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র না নিয়েই কদম ফেলতে শুরু করেছে।