সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে আরও দুই ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেল ইডি
বছরে আয় মাত্র কয়েক হাজার। অথচ কোটির কেনাবেচা! সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে ত্রিনেত্র'র মতোই দুটি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেল ED। দুটি সংস্থারই ব্যালান্স শিটে বিস্তর গরমিল। আর সন্দেহের কেন্দ্রে সেই পেন্টিং কেনাবেচা।
ব্যুরো: বছরে আয় মাত্র কয়েক হাজার। অথচ কোটির কেনাবেচা! সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে ত্রিনেত্র'র মতোই দুটি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেল ED। দুটি সংস্থারই ব্যালান্স শিটে বিস্তর গরমিল। আর সন্দেহের কেন্দ্রে সেই পেন্টিং কেনাবেচা।
ত্রিনেত্র রহস্যের জট খোলার আগেই নতুন জটিলতা। আরও দুটি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেলেন ED। একটি সংস্থা দুর্গা ফ্যাশন লিমিটেড। এই সংস্থার ২০০৯-২০১০ ও ২০১০-২০১০ অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
ব্যালান্স শিট বলছে দুর্গা ফ্যাশন লিমিটেডের ঠিকানা এক নম্বর ব্রিটিশ ইন্ডিয়া স্ট্রিট। ঘটনাচক্রে ত্রিনেত্র কনসালট্যান্টেরও একই ঠিকানা ছিল।
ব্যালান্স শিট অনুযায়ী দুই অর্থবর্ষে দুর্গা ফ্যাশন লিমিটেডের মোট আয় ৩৬ হাজার টাকা। কিন্তু ওই দুই অর্থবর্ষেই ২ কোটি ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে মোট ৯টি পেন্টিং কেনার হিসেব রয়েছে ব্যালান্স শিটে।
কয়েক হাজারের কোম্পানি কী করে কোটির লেনদেন করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই গোয়েন্দারা পেয়েছেন মাউন্ট ভিউ কনসালট্যান্টের হদিশ। ওই সংস্থার দুহাজার দশ- এগারো, এগারো-বারো অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
ব্যালান্স শিট অনুযায়ী মাউন্ট ভিউ কনসালট্যান্টের ঠিকানা আট নম্বর ক্যামাক স্ট্রিটে, শান্তিনিকেতন বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায়। রুম নম্বর ৪০৯।
ঘটনাচক্রে ওই ঠিকানাতেই আরও কয়েকটি শেয়ার কেনাবেচা সংস্থার অফিস রয়েছে। দুই অর্থবর্ষে মাউন্ট ভিউ কনসালট্যান্টের মোট আয় ৩৩ হাজার টাকা। কিন্তু দুই অর্থবর্ষে ২ কোটি টাকা খরচ করে ২টি পেন্টিং কেনার উল্লেখ রয়েছে ব্যালান্স শিটে।
ত্রিনেত্র-র সহযোগী সংস্থা জগজ্জননী কনসালট্যান্টের ব্যালান্স শিটেও ছিল এমনই ভুতুড়ে পেন্টিং কেনাবেচার হিসেব। মজার ব্যাপার হল, সবকটি পেন্টিংই কেনা হয়েছিল দুহাজার এগারোর বিধানসভা নির্বাচনের আগে। পেন্টিংয়ের আড়ালেই কি সাদা করা হয়েছিল কালো টাকা? সারদার উধাও হওয়া অর্থ কি এভাবেই ছড়িয়েছে বাজারে? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।