ধর্মের গেরোয় মৃত দেহ, মৃত্যুর দুদিন পর সৎকার
হিন্দু না ক্রিশ্চান? মৃতের পরিচয় কি? কোন মতে হবে সংস্কার? এইসব প্রশ্নের ফেরে একটা গোটা দিন আটকে রইল সত্তর বছরের বৃদ্ধের সত্কার।
ওয়েব ডেস্ক:হিন্দু না ক্রিশ্চান? মৃতের পরিচয় কি? কোন মতে হবে সংস্কার? এইসব প্রশ্নের ফেরে একটা গোটা দিন আটকে রইল সত্তর বছরের বৃদ্ধের সত্কার।
অঞ্চলের বাসিন্দারা পুলিসের কাছে গিয়েও কোনও সুরাহা করতে পারেনি। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পুলিস দুদিন বডি রেখে দিতে বলেছে।
স্বামীর মৃতদেহ আঁকড়ে দুদিন ধরে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন হিলারি ডিকোস্টার স্ত্রী। কিন্তু কেন?
শুক্রবার রাতে রাণাঘাট হাসপাতালে মারা যান চুয়াত্তর বছরের হিলারি ডি কোস্টা। ক্রীশ্চান সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী দেহ নিয়ে যাওয়া হয় চার্চে। কিন্তু,সমাধিস্ত করা যায়নি। চার্চের ফাদার জানিয়ে
দেন দীর্ঘদিন ধরে চার্চে যাননি হিলারি। তাই ক্রিশ্চান মতে তাঁর সত্কার সম্ভব নয়। নিরুপায় পরিবার দেহ নিয়ে পৌছয় শান্তিপুর শশ্মানে। সেখানেও বাধা পায় ডিকোস্টা পরিবার। সত্কারের দাবিতে
শ্মশানে শুরু হয় বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে পৌছয় রাণাঘাট থানার পুলিস। হঠিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের। এরপরই পুলিসের আজব ফরমান। পুলিস দুদিন বডি রেখে দিতে বলে। শুনে হতম্ভব হয়ে যায়
ডিকোস্টা পরিবার।
উপায় না পেয়ে দেহ নিয়ে রাতে বাড়ি ফিরে আসে পরিবার। রাতভর চলে টানাপোড়েন। শেষপর্যন্ত ভোর-রাতে টনক নড়ে প্রশাসনের। দিনভর টানাপোড়েনের পর পুলিসের উদ্যোগে শেষপর্যন্ত
সত্কারের ব্যবস্থা হয় হিলারি ডিকোস্টার।