আবগারি দফতরে নজর দিল সরকার
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরের বিষমদ কাণ্ডের ফলে আবগারি দফতরের ব্যর্থতা এবং সার্বিক ভাবে পরিকাঠামোর অভাব প্রকাশ্যে এসেছে। একথা স্বীকার করেই মহাকরণে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আবগারি দফতর ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরের বিষমদ কাণ্ডের ফলে আবগারি দফতরের ব্যর্থতা এবং সার্বিক ভাবে পরিকাঠামোর অভাব প্রকাশ্যে এসেছে। একথা স্বীকার করেই মহাকরণে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আবগারি দফতর ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। আবগারি দফতরে অনেক শূন্য পদ রয়েছে। ওইসব পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে বলে ঠিক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা।
অন্যদিকে, আবগারি দফতর শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। উত্তর চব্বিশ পরগণার নৈহাটি, জগদ্দল, বিলকান্দা, তালবান্দা, লেনিনগড়ে তল্লাসি চালিয়ে এক হাজার তিরিশ লিটার চোলাই উদ্ধার করে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ভাঁটিগুলিতে ছোট ছোট জলাশয়ের মাঝখানে বালি দিয়ে উঁচু করে ব্রিজের মতো বানানো হয়েছিল। সেইখানেই তৈরি হত চোলাই। বড় বড় পাইপ দিয়ে তা সরবরাহের ব্যবস্থাও ছিল।
পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় এই সব ঠেক ভাঙতে একশো দিনের প্রকল্পের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর বিষয়টি প্রমান করেছে দফতরের পরিকাঠামোর অভাবকে। তাদের কাছে অভিযান চালানোর মতো অর্থ নেই বলে জেলাশাসককে জানিয়েছিল আবগারি দফতর। সেকারণেই একশো দিনের প্রকল্পের জনা পঞ্চাশেক শ্রমিককে কাজে লাগিয়ে পরের পর ভাঁটি ভাঙার কাজ চলে।