পূর্ত দফতরের বুলডোজারে অস্তিত্ব সংকটে মল্ল রাজাদের কীর্তি
প্রাচীন মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরে অস্তিত্ব সংকটে মল্ল রাজাদের কীর্তি গুমঘর। প্রাচীন এই পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের পাশেই রীতিমতো বুলডোজার চালিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে মাটি। তবে এ-কোনও মাটি মাফিয়ার কীর্তি নয়। এই কীর্তি খোদ পূর্ত দফতরের ।
ওয়েব ডেস্ক: প্রাচীন মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরে অস্তিত্ব সংকটে মল্ল রাজাদের কীর্তি গুমঘর। প্রাচীন এই পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের পাশেই রীতিমতো বুলডোজার চালিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে মাটি। তবে এ-কোনও মাটি মাফিয়ার কীর্তি নয়। এই কীর্তি খোদ পূর্ত দফতরের ।
কাজ চলছে পুরোদমে। তৈরি হবে পাবলিট টয়লেট।বিষ্ণুপুরবাসীর এই দাবি বহুদিনের। দাবি ট্যুরিস্টদেরও। কিন্তু তা বলে আর কোনও জায়গা পাওয়া গেল না!
বিষ্ণুপুরে গুমঘরের পাশেই মাটি কেটে তৈরি হচ্ছে টয়লেট। এজন্য গুমঘরের গায়ে লেগে থাকা ঢিপির মাটি বুলডোজার দিয়ে কেটে সমান করার কাজেও হাত দিয়েছে পূর্ত দফতর। ইতিহাস গবেষকরা বলছেন, এতে গুমঘরের ভিত দুর্বল হয়ে আগামী দিনে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে প্রাচীন এই পুরাকীর্তি। বিষ্ণুপুর রাজদরবার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উচু দেওয়াল ঘেরা এই প্রাচীন সৌধ। ওপরের দিক সম্পূর্ণ খোলা। এর ইতিহাস অবশ্য রহস্যে ঘেরা। অনেকের মতে, মল্ল রাজত্বে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত কুখ্যাত অপরাধীদের গুমঘরের ওপরে তুলে নিচে ফেলে দেওয়া হত। দেওয়ালগুলিতে লাগানো ধাতব ফলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত অপরাধীর দেহ। আবার একাংশের মত, বৃষ্টির জল ধরে রেখে শুখা মরসুমে তা ব্যবহারের জন্যই গুমঘর তৈরি করেন মল্ল রাজারা। অফুরান রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা ঐতিহ্যবাহী এই কীর্তি কি এভাবেই ধবংস হয়ে যাবে সবার চোখের সামনে?
মুখে কুলুপ স্থানীয় প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের অফিসারদের।