হাতির শ্রাদ্ধ্য!
প্রিয় পোষ্যের আত্মার শান্তি কামনা করে যদি শ্রাদ্ধ্য হতে পারে, তাহলে হাতির কেন নয়? হোক না সে বনের প্রাণী। তবু গজরাজ বলে কথা। তাই মৃত্যুর এক বছর পর, বুধুয়ার বাত্সরিক কাজ সম্পন্ন হল জঙ্গলেই।
ব্যুরো: প্রিয় পোষ্যের আত্মার শান্তি কামনা করে যদি শ্রাদ্ধ্য হতে পারে, তাহলে হাতির কেন নয়? হোক না সে বনের প্রাণী। তবু গজরাজ বলে কথা। তাই মৃত্যুর এক বছর পর, বুধুয়ার বাত্সরিক কাজ সম্পন্ন হল জঙ্গলেই।
এক বছর আগের কথা। মালবাজার মহকুমার লাটাগুড়ির জঙ্গলে আচমকা কাদায় পড়ে ,মারাত্মক চোট পেয়েছিল একটি হাতি। বনকর্মীরা অনেক কষ্টে তাকে উদ্ধার করে। তারপর টানা ২১ দিন ধরে চলে চিকিত্সা। সেসময় পশুপ্রেমী সংগঠন এবং বনকর্মীরা আদর করে তার নাম রেখেছিল করেছিল বুধুয়া। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ২০১৫-এর ২১ জানুয়ারি মারা যায় বুধুয়া। সেই মৃত্যুশোক যেন কোনও ভাবেই ভুলতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা ও বনকর্মীরা। তাই বুধুয়ার আত্মার শান্তি কামনায়, বৃহস্পতিবার রীতিমত যজ্ঞ করে পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হল লাটাগুড়ির জঙ্গলে।
স্থানীয় গাইডদের সংগঠন থেকে শুরু করে বন দফতরের কর্মীরা। সকলেই বুধুয়ার বাত্সরিকে শরিক হয়েছিলেন। হাতির শ্রাদ্ধ্য দেখতে জঙ্গলে ভিড় করেছিলেন পর্যটকরাও। অনুষ্ঠান শেষে পাত পেড়ে খেলেন সকলে।