আলুর পর মাঠেই নষ্ট ধান, দিশাহীন চাষী

আলুর পর এবার ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। অসময়ের বৃষ্টিতে মাঠের ধান মাঠেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে। লাভের আশা ছেড়ে মহাজনের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়েই আশঙ্কায় বহু চাষী। এই অবস্থায় সরকার পাশে না দাঁড়ালে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে বলে মনে করছেন অনেক চাষী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মরশুমের এই সময় বোরো ধান ঘরে তোলা হয়। অথচ এই বছর কালবৈশাখী ও অসময়ের বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের। কারণ তাঁদের অনেকেই এখনও পাকা ধান কাটতে পারেননি। যাঁরা পেরেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার সেই ধান ঘরে তুলতে পারেন নি। ফলে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। গত কয়েকদিনে জেলায় দৈনিক বৃষ্টি হয়েছে গড়ে একশো কুড়ি মিলিমিটার। সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কাঁথিতে, একশো আটত্রিশ মিলিমিটার। এছাড়া ভগবানপুর, এগরা, খেজুরী, নন্দীগ্রাম, মহিষাদল, নন্দকুমার, পাঁশকুড়া, তমলুকসহ একাধিক ব্লকে অসময়ের বৃষ্টি ধানচাষের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
জেলার কৃষি আধিকারিকও স্বীকার করেছেন যে অসময়ের বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে ধান চাষের। কৃষকদের অভিযোগ, এবছর এমনিতেই ধানের সহায়ক মূল্য কম। তারওপর বৃষ্টিতে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে লাভের আশা ছেড়ে এখন মহাজনের টাকা তাঁরা কিভাবে ফেরত দেবেন, সে চিন্তায় রাতের ঘুম উধাও অনেকের। এঅবস্থায় তাঁদের দাবি, সরকার পাশে দাঁড়াক। অন্যথা বেশকিছু কৃষকের আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।