এ কেমন আজব পুলিস? ধৃতকে আবার ধরে!!
গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিস চুপ। আতঙ্কে, উত্কণ্ঠায় গ্রাম ছাড়ছে মানুষ। পুলিস চুপ। ঘটনার পর বিরোধীদের আটকাতে একশো চুয়াল্লিশ ধারা। পুলিস তত্পর। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে ফের গ্রেফতার। পুলিস তত্পর। পাড়ুইয়ে বড়ই আজব কাণ্ড পুলিসের।
বীরভূম: গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিস চুপ। আতঙ্কে, উত্কণ্ঠায় গ্রাম ছাড়ছে মানুষ। পুলিস চুপ। ঘটনার পর বিরোধীদের আটকাতে একশো চুয়াল্লিশ ধারা। পুলিস তত্পর। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে ফের গ্রেফতার। পুলিস তত্পর। পাড়ুইয়ে বড়ই আজব কাণ্ড পুলিসের।
এ পুলিস কেমন পুলিস গুলি ছুটলে চুপ থাকে! এ পুলিস কেমন পুলিস লকআপের বন্দিকেই গ্রেফতার করে! শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সাগর ঘোষ হত্যা মামলায় আদালতে বারবার মুখ পুড়েছে পুলিসের। বিচারপতির ভর্তসনা, সমাজের বিভিন্ন স্তরে কড়া সমালোচনা। লাগাতার ধাক্কা খাওয়ার পর একটু হলেও আশা ছিল, শুধরোতে পারে পুলিস।
কিন্তু মাখড়া কাণ্ড দেখিয়ে দেয় পুলিস আছে পুলিসেই। শাসকদলের প্রতি আনুগত্য সেখানে শেষ কথা। তাই রক্ত ঝরলেও নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকে খাঁকি উর্দি।
আতঙ্কে উত্কণ্ঠায় গ্রামবাসীরা মাখড়া ছাড়লেও তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে না পুলিস। উল্টে বিরোধীদের গ্রামে যাওয়া আটকাতে ব্যস্ত থাকে তারা।
পুলিসের এই ভূমিকায় চারদিকে ছি ছি পড়ে গেছে। কিন্তু আমজনতার রক্ষকদের তাতে কিছুই যায় আসে না। আলি জিন্নাকে গ্রেফতারের ঘটনায় তা স্পষ্ট।
মাখড়া কাণ্ডে গ্রেফতার আলি জিন্নাকে পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছিল পুলিস। লকআপে বন্দি সেই জিন্নাকেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় ফের গ্রেফতার দেখিয়ে সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। আবার হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে পাড়ুই থানার পুলিস। যা দেখে স্তম্ভিত সিউড়ি আদালতের বিচারক।
ধৃত আলি জিন্না এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। পাড়ুই থানার পুলিসের রহস্যময় আচরণ নিছক ভুল, নাকি তার পিছনেও অভিসন্ধি রয়েছে, সে প্রশ্ন তাই থেকেই যাচ্ছে।
সাগর ঘোষ হত্যা থেকে মাখড়ায় রক্তস্নান। হাজার সমালোচনাতেও নির্বিকার পাড়ুই থানার পুলিস। শুক্রবার সিউড়ি আদালতের ভর্তসনা ও তদন্তকারী অফিসারের শাস্তিতে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেয়েছেন মাখড়ার ত্রস্ত গ্রামবাসীরা। এখন প্রশ্ন, এরপরেও কি শুধরোবে না পুলিস?