অষ্টমির আলোয় ভাসল চন্দননগর

অষ্টমির রাতে জনসমুদ্র চন্দননগর। হালকা শীতের আমেজ নিয়েই সারারাত ধরে চলেছে ঠাকুর দেখার পালা। হোটেল,রেস্টুরেন্টে চলেছে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও একই ছবি। এখানে মূল পুজো হয় নবমীতেই। অষ্টমি থেকেই শুরু হয়ে গেছে সেই প্রস্তুতি।

Updated By: Nov 1, 2014, 10:39 AM IST
অষ্টমির আলোয় ভাসল চন্দননগর

চন্দননগর: অষ্টমির রাতে জনসমুদ্র চন্দননগর। হালকা শীতের আমেজ নিয়েই সারারাত ধরে চলেছে ঠাকুর দেখার পালা। হোটেল,রেস্টুরেন্টে চলেছে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও একই ছবি। এখানে মূল পুজো হয় নবমীতেই। অষ্টমি থেকেই শুরু হয়ে গেছে সেই প্রস্তুতি।

অষ্টমির রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাসা ভিড়। বিগবাজেটের পুজোর মধ্যে পড়ে চন্দননগরের দৈবকপাড়া, কাছারিঘাট, গোন্দলপাড়া মনসাতলার পুজো। তাই অষ্টমির রাতে এই সব মন্ডপে উপচে পড়া ভিড়। ঠাকুর দেখার জন্য  দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন। সারা রাত ধরে পুজো পরিক্রমা। বাইরে থেকে বহু দর্শনার্থী  চন্দননগরে আসেন।  চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর ম্যাজিক। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আলোতেই ফুটে উঠেছে মিকি মাউস, ডোরেমন। কোথাও আবার কলকাতার দর্শনীয় স্থান। হালকা শীতের আমেজ নিয়েই রাত জেগেই চলেছে ঠাকুর দেখার পালা।  প্রতিমা নিরঞ্জন দেখার জন্যেও ভিড় উপচে পড়ে চন্দননগরে।

অষ্টমির সন্ধ্যেয় হুগলির রিষড়ায় একটি পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাটি। নবমী থেকেই এখানে পুজো শুরু হয়। রাজ্যপালকে দেখার মণ্ডপে ভিড় জমিয়ে ছিলেন দর্শনার্থীরা।  নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও জগদ্ধাত্রী পুজোর রোশনাই। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের উদ্যোগেই কৃষ্ণমনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন শুরু। নবমীতেই এখানে মূল পুজো। সপ্তমি, অষ্টমি,নবমীর পুজো হয় একদিনেই। সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়ে যায় পুজো প্রস্তুতি। কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত বুড়িমার পুজোয় অষ্টমির রাত থেকেই শুরু হয়ে গেছে মাতৃপ্রতিমাকে সোনার গয়না পরানোর কাজ। সারা শরীর মুড়ে দেওয়া হয় সোনার গয়না। পুজোর দিনে মাকে সোনার গয়না দিয়েই পুজো দেন বহু দর্শনার্থী। বাইরে থেকেও আসা দর্শনার্থীর সংখ্যা কম নয়। পুজোর সঙ্গেই বহু মানুষ ভিড় জমান রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়িতে। সেটিও দর্শনীয় স্থান হিসাবেই প্রসিদ্ধ। দশমীর সকাল থেকে শুরু হয়ে যাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি।

 

.