উত্তরবঙ্গে বেড়ে চলেছে অনাহারে মৃত্যু
ঢেকলাপাড়া চা বাগানে ফের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত চারদিনে মৃত্যু হল দুজন শ্রমিকের। অনাহার ও অপুষ্টিতে কয়েকদিন ধরে ভুগছিলেন একান্ন বছরের ভাওড়া মুন্ডা। রবিবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঢেকলাপাড়া চা বাগানে ফের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত চারদিনে মৃত্যু হল দুজন শ্রমিকের। অনাহার ও অপুষ্টিতে কয়েকদিন ধরে ভুগছিলেন একান্ন বছরের ভাওড়া মুন্ডা। রবিবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে অপুষ্টিজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত বুধবার রাতে মৃত্যু হয় জিত্বহন খারিয়ার। গত ছমাসে এই নিয়ে ওই বাগানে অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেলেন ১১ জন।
বাগানের আউট ডিভিসনের নির্পানিয়ার বেদারলাইনে থাকতেন ভাওড়া মুন্ডা। গত ১০ বছর ধরে কোনও নিয়মিত রোজগার ছিল না তাঁর। কখন বাগান থেকে পাতা তুলে স্থানীয় বাজারে বিক্রি, কখন নদীর পার থেকে পাথর তুলে চলত তাঁর। সরকারের দেওয়া মাসিক ভাতায় কোনও ভাবে চলত সংসার। কিন্তু গত কয়েক মাসে সেই ভাতাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় অনাহারে দিন কাটছিল এই শ্রমিক পরিবারের। গত বুধবারই বাগানের আর এক শ্রমিক জিত্ বহন খারিয়ার অনাহার, অপুষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অনাহার, অর্ধাহারে ঢেকলাপাড়া চা বাগানে গত ছয় মাসে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের মৃত্যুর পর রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় তোলপাড়। সরকারের উদাসীনতার জন্যই শ্রমিকরা অনাহার, অর্ধাহারে মারা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের মাসিক দেড় হাজার টাকা ভাতা নতুন সরকার আসার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহেই ঢেকলাপাড়া যান বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। অবিলম্বে শ্রমিক পরিবারকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। বন্ধ বাগানে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীও। কিন্তু কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি তার প্রমাণ মিলল রবিবারই। ফের অনাহার, অর্ধাহারে মারা গেলেন বাগানের আরও এক শ্রমিক ভাওড়া মুন্ডা।