অধ্যক্ষ বদলি, ফের দলতন্ত্রের অভিযোগ উঠল রাজ কলেজ ঘিরে
কলেজে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা থামাতে গিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর তৃণমূল ছাত্র নেতার হাতে মার খান ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার রাঢ়ী। ঘটনার পরে প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকী অভিযোগও দায়ের করেন থানায়। যদিও সরকার বা প্রশাসন কেউই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়নি। কিন্তু ঘটনার এক মাসের মধ্যেই রাজ কলেজের অধ্যক্ষকে কোচবিহারের এ বি এন শীল কলেজে বদলি করল সরকার। আর এই বদলি ঘিরেই ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অভিযোগ, সরকারের বদলির নিয়ম না মেনেই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এই বদলি। সরকারের অবশ্য দাবি, অধ্যক্ষের কাজ না করে অধ্যাপক পদে ফিরতে চেয়েছিলেন কিশোর কুমার রাঢ়়ী। তাই এই বদলি। যদিও সরকারের যুক্তি মানতে নারাজ শিক্ষা জগত। এই যুক্তি না মানার পিছনে কারণগুলিও খুবই স্পষ্ট।
সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বদলি করা হল ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যক্ষকে। কিছুদিন আগেই ছাত্র সংঘর্ষ থামাতে গেলে তৃণমূল ছাত্র নেতার হাতে মার খান তিনি। ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখও খোলেন তিনি। ফলে তার জেরেই সরকারি নিয়ম না মেনে এই বদলি কিনা সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
কলেজে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা থামাতে গিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর তৃণমূল ছাত্র নেতার হাতে মার খান ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার রাঢ়ী। ঘটনার পরে প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকী অভিযোগও দায়ের করেন থানায়। যদিও সরকার বা প্রশাসন কেউই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়নি। কিন্তু ঘটনার এক মাসের মধ্যেই রাজ কলেজের অধ্যক্ষকে কোচবিহারের এ বি এন শীল কলেজে বদলি করল সরকার। আর এই বদলি ঘিরেই ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অভিযোগ, সরকারের বদলির নিয়ম না মেনেই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এই বদলি। সরকারের অবশ্য দাবি, অধ্যক্ষের কাজ না করে অধ্যাপক পদে ফিরতে চেয়েছিলেন কিশোর কুমার রাঢ়়ী। তাই এই বদলি। যদিও সরকারের যুক্তি মানতে নারাজ শিক্ষা জগত। এই যুক্তি না মানার পিছনে কারণগুলিও খুবই স্পষ্ট।
প্রথমত-- সরকারেরই নিয়ম আছে যে অবসরের ক্ষেত্রে তিনবছর বা তার থেকে কম থেকে সময় বাকি আছে এমন কোনও ব্যক্তিকে বদলি করতে গেলে তাকে তার বাড়ির কাছে কলেজে বদলি করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হল না। কারণ কিশোর রাঢ়়ীর বাড়ি কলকাতায় অথচ তাকে বদলি করা হল কোচবিহারে।
দ্বিতীয়ত-- কিশোর কুমার রাঢ়ী ভাষাতত্ব বা লিঙ্গুয়িস্টিক্সের অধ্যাপক। অথচ যে কলেজে তাকে বদলি করা হল, সেখানে সাম্মানিক স্নাতকস্তরে ভাষাতত্ত্ব বিষয় হিসেবে পড়ানোই হয় না। শুধু মাত্র স্নাতকোত্তরের সাধারণ বিভাগে ৫০ নম্বর আছে লিঙ্গুয়িস্টিক্সের জন্য।
তৃতীয়ত-- এ বি এন শীল কলেজে লিঙ্গুয়িস্টিকের কোন প্রফেসর পদই ছিল না। কিন্তু শুধুমাত্র কিশোরবাবুকে বদলির জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে লিঙ্গুয়িস্টিক্সের পদ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এ বি এন শীল কলেজে। অথচ সংস্কৃত কলেজে পুরোমাত্রায় লিঙ্গুয়িস্টিক্স অনার্স পড়ান হয়। শুধু তাই নয়, সংস্কৃত কলেজ থেকে যে পদটি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটি ফাঁকা ছিল। ফলে অনায়াসেই সেখানেই তাকে বদলি করা যেত।
সব মিলিয়ে নিছক আবেদনের ভিত্তিতেই এই বদলি বলে সরকারের দাবিকে মানতে নারাজ শিক্ষামহল। বরং এই বদলি শাস্তিমূলক বদলি বলেই মনে করছে শিক্ষমহল। আর সেখানেই উঠছে প্রশ্ন। তবে কি এখন থেকে শাসক দলের কারও হাতে অধ্যক্ষ অধ্যাপিকারা প্রহৃত হয়ে প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে সরকার।