বিশ বাঁও জলে প্রতিশ্রুত রেলপ্রকল্প
ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিশ্রুতি আর প্রাপ্তির ফারাক। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাজেটে রাজ্যে একাধিক রেল প্রকল্প ও কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাসমারহে শিলান্যাসও হয়েছিল বেশ কয়েকটির। এর পর কালের চাকা ঘুরলেও, ঘোরেনি কলের চাকা। কোথাও কাজ এগিয়েছে সামান্য, কিছুটা এগোনোর পর বন্ধ কাজ, কোথাও কিছুই হয়নি। ২০১২ সালের রেল বাজেটেও নিশ্চিত ভাবে এরাজ্যের জন্য থাকবে বেশ কয়েকটি চমক। তার আগে অকালমৃত সেই প্রকল্পগুলিকে ঘুরে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ সিরিজ।
ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিশ্রুতি আর প্রাপ্তির ফারাক। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাজেটে রাজ্যে একাধিক রেল প্রকল্প ও কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাসমারহে শিলান্যাসও হয়েছিল বেশ কয়েকটির। এর পর কালের চাকা ঘুরলেও, ঘোরেনি কলের চাকা। কোথাও কাজ এগিয়েছে সামান্য, কিছুটা এগোনোর পর বন্ধ কাজ, কোথাও কিছুই হয়নি। ২০১২ সালের রেল বাজেটেও নিশ্চিত ভাবে এরাজ্যের জন্য থাকবে বেশ কয়েকটি চমক। তার আগে অকালমৃত সেই প্রকল্পগুলিকে ঘুরে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ সিরিজ।
মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার আগের ছয় মাসে এরাজ্যে ১০০-র বেশি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পগুলি জায়গা করে নিয়েছিল রেল বাজেটেও। সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকার ঘোষণা ছিল তত্কালীন রেলমন্ত্রীর।
তাঁর দাবি ছিল উদ্বোধনের পর থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে প্রকল্পগুলিতে। কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি রেল প্রকল্প কি অবস্থায় রয়েছে.....
কাঁচরাপাড়া কোচ ফ্যাক্টরি। অনুমানিক খরচ ২৬২ কোটি টাকা। শিলান্যাস হয়েছিল মার্চ, ২০১০। এখনও কাজ শুরুই হয়নি।
কুলটি ওয়াগান কারখানা। অনুমানিক খরচ ১২০ কোটি টাকা। শিলান্যাস হয়েছিল ডিসেম্বর, ২০১০। কাজ সবে শুরু হয়েছে।
বজবজ এসি কন্টেনার কারখানা। অনুমানিক খরচ ৫৩.৯ কোটি টাকা। শিলান্যাস হয়েছিল জানুয়ারি, ২০১১। কাজ সবে শুরু হয়েছে।
পেরিসেবল কার্গো সেন্টার। অনুমানিক খরচ ৩ কোটি টাকা। শিলান্যাস হয়েছিল নভেম্বর, ২০০৯। কাজ শেষ হয়েছে।
হলদিয়া ডিএমইউ কোচ ফ্যাক্টরি। অনুমানিক খরচ ১৭০ কোটি টাকা। শিলান্যাস হয়েছিল ফেব্রুয়ারি, ২০১১। কাজ সবে শুরু হয়েছে।
জলপাইগুড়ি এক্সেল কারখানা। অনুমানিক খরচ ৩০০ কোটি টাকা। শিলান্যাস হয়েছিল সেপ্টেম্বর, ২০১০। এখনও কাজ শুরুই হয়নি।
রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে যে সমস্ত কারখানার কাজ শুরু হয়েছে, তার কাজ শেষ করতে প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দাঁড়িয়ে রেলের পক্ষে এই বিপুল পরিমান অর্থ আসবে কোথা থেকে?
শুধুমাত্র বামেরাই নয়। প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কংগ্রেসও।