প্রতিষ্ঠা দিবসে অশ্লীল নাচগানে অস্বস্তিতে তৃণমূল
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন। ভাঙর থানার সামনে মঞ্চ বেঁধে বসল অশ্লীল নাচগানের জমজমাট আসর। উদ্যোগে তৃণমূলের এক জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদ সদস্য মীর তাহের আলি। সেই আসরে চটুল গানের তালে উদ্দাম নৃত্য শালীনতার সীমা ছাড়াল। উড়ল টাকা। মঞ্চ থেকেই দর্শকদের আহ্বান জানানো হল, এই জলসা প্রাণভরে উপভোগ করতে। চব্বিশ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পরে অবশ্য অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় ভাঙর থানার পুলিস। জানা গেল, এতকিছু হচ্ছিল পুলিসের অনুমতি ছাড়াই।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন। ভাঙর থানার সামনে মঞ্চ বেঁধে বসল অশ্লীল নাচগানের জমজমাট আসর। উদ্যোগে তৃণমূলের এক জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদ সদস্য মীর তাহের আলি। সেই আসরে চটুল গানের তালে উদ্দাম নৃত্য শালীনতার সীমা ছাড়াল। উড়ল টাকা। মঞ্চ থেকেই দর্শকদের আহ্বান জানানো হল, এই জলসা প্রাণভরে উপভোগ করতে। চব্বিশ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পরে অবশ্য অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় ভাঙর থানার পুলিস। জানা গেল, এতকিছু হচ্ছিল পুলিসের অনুমতি ছাড়াই।
পুলিসের গুলিতে প্রাণ হারানো ১৪ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর স্মৃতিতে প্রতিবছর শহিদ দিবস পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবাদ সেই শহিদ দিবস পালন করা হয়েছিল ব্রিগেডে। আর তাতেই বাণিজ্যিক বাংলা ছবির গান গেয়েছিলেন অভিনেতা দেব। এই সংস্কৃতির এখানেই শুরু। এরপর ভাঙর। মঙ্গলবার রাতে ভাঙর থানার সামনে এই বিচিত্রানুষ্ঠানই শালীনতার মাত্রা ছাড়াল। অশ্লীল গান-নাচের উদ্দাম নৃত্য পূর্ণতা পেল, টাকা ছড়ানোয়। উপলক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন। উদ্যোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূল নেতা মীর তাহের আলি। ব্যানারে প্রতিষ্ঠা দিবসের বানান থেকে শুরু করে মঞ্চের অশালীন নৃত্য। সবকিছু থেকেই চুঁইয়ে পড়ছিল সংস্কৃতি।
মঞ্চ থেকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধও করা হল। জানা গেল, দর্শকাসনে রয়েছেন বহু মহিলাও। আবার এই বিচিত্রানুষ্ঠান পুরোদমে উপভোগ করার আহ্বানও গেল সেই মঞ্চ থেকেই।
চব্বিশ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পরেই এই জলসা বন্ধ করে দেয় ভাঙর থানার পুলিস। জানা গেল, অনুষ্ঠানের জন্য ভাঙর থানার অনুমতিও নেওয়া হয়নি। অশালীনতার পাশাপাশি তাই আইনভঙ্গেরও অভিযোগ উঠছে। উঠছে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন। দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনায় বর্ষবরণের যাবতীয় উত্সব বাতিল করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সাহসিনীর প্রয়াণে ফেসবুকে কবিতা লিখে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। জায়গায় জায়গায় মহিলাদের সম্মান আর নিরাপত্তার দাবিতে মিছিল, বিক্ষোভ। সেই আবহে, এ কোন সংস্কৃতি? শাসকদলের অনুষ্ঠান মঞ্চেই কেন মহিলাদের এভাবে পন্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা? উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন।