গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বাস অধিগ্রহণ ঘিরে বিতর্ক
দু` থেকে তিন হাজার টাকা খরচ করে সারিয়ে তোলা যেত বাস। তা না করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পরিবহণ সংস্থাগুলিকে ক্রমশঃ রুগ্ন করে তুলছে পরিবহণ নিগম। অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার সেই অভিযোগে নতুন মাত্রা। সাগরমেলার জন্য নিজেরা বাসের যোগান দিতে না পেরে এবার বেসরকারি বাস হুকুম-দখলের পথে হাঁটল নিগম। এতে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা থাকলেও সরকারি নির্দেশের ঢেঁকি গিলতে বাধ্য হচ্ছেন বাস মালিকরা।
দু` থেকে তিন হাজার টাকা খরচ করে সারিয়ে তোলা যেত বাস। তা না করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পরিবহণ সংস্থাগুলিকে ক্রমশঃ রুগ্ন করে তুলছে পরিবহণ নিগম। অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার সেই অভিযোগে নতুন মাত্রা। সাগরমেলার জন্য নিজেরা বাসের যোগান দিতে না পেরে এবার বেসরকারি বাস হুকুম-দখলের পথে হাঁটল নিগম। এতে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা থাকলেও সরকারি নির্দেশের ঢেঁকি গিলতে বাধ্য হচ্ছেন বাস মালিকরা।
রাজ্য সরকারের হাতে বাস কম পড়েছে। আর গঙ্গাসাগরে আগত পূণ্যার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১২ শতাংশ। অগত্যা মুখ বাঁচাতে এবং সরকারি পরিবহণের রুগ্নতা ঢাকতে এবার বেসরকারি বাসের দিকে হাত বাড়ালো রাজ্যের পরিবহণ নিগম। জেএনএনইউআরএম (জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন) প্রকল্পের বাসগুলির ক্ষেত্রে যেহেতু মালিকদের প্রদত্ত ঋণ পরিশোধ হয়নি, তাই ১০০টি নতুন বাস সাগরমেলার জন্য চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য।
বুধবার, অর্থাত্ ১১ তারিখ থেকে বাসগুলি অধিগ্রহণ করে স্টিকার লাগাবে নিগম। ১২ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত বাসগুলি নিগমের হয়ে অস্থায়ী ভাবে ভাড়া খাটবে। এতে একদিকে বাস বিলুপ্তির আশঙ্কায় নিত্যযাত্রীরা। অন্যদিকে লোকসানের আতঙ্কে বেসরকারি বাস মালিকরা।
কারণ, নিগমের ঠিক করে দেওয়া ভাড়া অর্থাত্ মাথাপিছু ৬০ টাকা ৪০ জন করে যাত্রী বহন করবে বাস। মোট আয় হবে ২৪০০ টাকা। পাশাপাশি বাবুঘাট থেকে লট এইট পর্যন্ত ১০৬ কিলোমিটার রাস্তা যেতে এবং আসতে মোট ২১২ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বাসগুলিতে ভরতে হবে ৬০ লিটার জ্বালানি। সাধারণ ডিজেলের ক্ষেত্রে খরচ হবে ২৮০০ টাকা। নতুন বাসগুলি যে সুপার ডিজেলে চলে, সেগুলি কিনতে খরচ বাস পিছু ৩০০০ টাকা। সঙ্গে চালক ও ২ কন্ডাক্টরের কমিশন মিলিয়ে দৈনিক আরও ৫৬০ টাকা ব্যায় করার পর বাস পিছু মালিকদের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ১১৬০ টাকা।
নিগমকর্তারা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এমনকি প্রকাশ্যে কোনও লিখিত নোটিশও জারি হয়নি বাস দখলের। শুধু মৌখিকভাবে বাসের নম্বর সহ ১১ তারিখ সকালে মালিকদের নির্দিষ্ট স্থানে বাস নিয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। কেন এভাবে নিশ্চিত লোকসানের জাঁতাকলে ফেলা হচ্ছে বেসরকারি বাস মালিকদের?