রবিনহুড অধীর এখন যেন বহরমপুরের কুম্ভ!
তৃণমূলের থাবা থেকে মুর্শিদাবাদ গড় রক্ষা করতে একা কুম্ভ অধীর। শুভেন্দু অধিকারীর চালে ভেঙে তছনছ কংগ্রেসের ঘর। প্রতিদিনই ঢাকঢোল পিটিয়ে চলছে দলবদল। আর তা রুখতে এখন মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ।
ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের থাবা থেকে মুর্শিদাবাদ গড় রক্ষা করতে একা কুম্ভ অধীর। শুভেন্দু অধিকারীর চালে ভেঙে তছনছ কংগ্রেসের ঘর। প্রতিদিনই ঢাকঢোল পিটিয়ে চলছে দলবদল। আর তা রুখতে এখন মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ।
যেভাবে নিজের গড়েই ঘাসফুলের ধাক্কায় বেসামাল হচ্ছে দল, তাতে সঙ্কট তো বাড়ছেই। দীর্ঘদিন দখলে থাকা বেলডাঙা পুরসভা রাতারাতি চলে গিয়েছে শাসকদলের দখলে। সম্প্রতি তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ সহ দশ সদস্য। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিদিনই শিবির বদলাচ্ছেন বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূলের তরফে মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বে শুভেন্দু অধিকারী। গত তিন বছর ধরে বহরমপুরের মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেও পুরভোট অথবা পঞ্চায়েত ভোটে সেই অর্থে সাফল্য আসেনি। লোকসভা নির্বাচনেও কমাতে পারেননি অধীরের মার্জিন। তবে এখন ভোটবিহীন দলবদলের খেলায় অনেকটাই এগিয়ে শুভেন্দু। প্রদেশ সভাপতি মনে করেন, শুধুমাত্র তৃণমূল নয়। দল ভাঙানোর এই খেলায় যুক্ত করা হচ্ছে প্রশাসনকেও।
তবে শুধু অভিযোগ করে যে মুর্শিদাবাদকে রক্ষা করা যাবেনা, তা বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন কংগ্রেসের সেনাপতি। দলের মধ্যে এখনও কারা মিরজাফর রয়েছেন তা খুঁজতে রীতিমত আতসকাচ নিয়ে নেমে পড়েছে অধীরবাহিনী। তিনি নিজে কখনও একান্তে, কখনও অঞ্চলের নেতাদের নিয়ে টানা বৈঠকে ব্যস্ত। লক্ষ্য একটাই, বুদির গড় রক্ষা করা।