আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অস্ত্র নিয়ে ভক্তদের দাপট মেলায়
বোমা, বন্দুক, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র-- কী নেই। এইসব অস্ত্র নিয়েই বর্ধমানের বুড়োরাজের মেলায় হাজির দূর-দূরান্তের মানুষ। পুজোয় যোগ দিতেই নাকি এসবের প্রয়োজন। বর্ধমানের কালনার পূর্বস্থলীতে প্রতিবছর এই মেলা বসে।
বোমা, বন্দুক, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র-- কী নেই। এইসব অস্ত্র নিয়েই বর্ধমানের বুড়োরাজের মেলায় হাজির দূর-দূরান্তের মানুষ। পুজোয় যোগ দিতেই নাকি এসবের প্রয়োজন। বর্ধমানের কালনার পূর্বস্থলীতে প্রতিবছর এই মেলা বসে। আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রশস্ত্র সহ ভক্তেরা দাপিয়ে বেড়ালেও নীরব পুলিস-প্রশাসন। ফলে অস্ত্রধারী এই ভক্তদের আতঙ্কে ভুগতে হয় গোটা গ্রামকে।
প্রতিবছর বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে কালনার জামালপুরে বুড়োরাজের পুজো ও মেলার আয়োজন হয়। প্রায় ছশো বছরের প্রাচীন এই পুজোয় আশেপাশের জেলা থেকে ভক্ত সমাগম হয়। জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকায় একসময় লুঠপাট আটকাতে অস্ত্র ব্যবহার করতেন ভক্তেরা। কিন্তু এখন তা কার্যত প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা জানিয়েছেন নদিয়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের বেশকিছু গ্রাম থেকে কয়েকশো ভক্ত বেআইনিভাবে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিসের সামনেই এই মেলায় দাপিয়ে বেড়ায়। অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা তাঁদের কাছে নিতান্তই আনন্দ উপভোগের একধরনের উপায় বলে দাবি ভক্তদের একাংশের। তবে তাঁদের এই আনন্দই এখন গ্রামের লোকজনের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে।