কৃষির নবজন্ম, নাকি শিল্পস্বপ্নের মৃত্যু? কী বলছে সিঙ্গুর
দ্রুত মুছে যাচ্ছে শিল্পের শেষ চিহ্নটুকু। শিল্পের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে সিঙ্গুর আবার উর্বর চাষের জমি। কৃষির নবজন্ম? নাকি শিল্পস্বপ্নের মৃত্যু? বিতর্ক বেঁচে থাকবে। খসে পড়ছে একের পর এক পাঁজর। ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে বাম শিল্পোদ্যোগের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু।
ওয়েব ডেস্ক : দ্রুত মুছে যাচ্ছে শিল্পের শেষ চিহ্নটুকু। শিল্পের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে সিঙ্গুর আবার উর্বর চাষের জমি। কৃষির নবজন্ম? নাকি শিল্পস্বপ্নের মৃত্যু? বিতর্ক বেঁচে থাকবে। খসে পড়ছে একের পর এক পাঁজর। ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে বাম শিল্পোদ্যোগের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু।
স্বপ্ন দেখেছিল সিঙ্গুর। সেই দশ বছর আগে। এই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গড়াবে ন্যানোর চাকা। স্বপ্নপূরণে ধানের জমি ফুঁড়ে ওঠে কংক্রিটের গাঁথনি। আজ সেই কংক্রিট উপড়ে ফেলতে ডিনামাইট। ল্যান্ড মুভার। অনাবাদী জমি চষে ফেলছে ট্র্যাক্টর। দশ বছর বাদে ফের চলতে শুরু করল ট্র্যাক্টর। যেখান থেকে ন্যানো চষে বেড়ানোর কথা ছিল। টিমটিম করে এখনও টিকে টাটাদের কারখানার একটিমাত্র শেড। নিভে যাওয়ার অপেক্ষাতেই যেন জ্বলে রয়েছে শিল্পায়নের শেষ প্রদীপটুকু।
আরও পড়ুন- অধিকার চাইলে পাওয়া যায় না অধিকার কেড়ে নিতে হয়, সিঙ্গুরে ঘোষণা মমতার
শিল্পোদ্যোগের সবটাই জোর করে নয়। কৃষি থেকে শিল্পে উত্তোরণের স্বপ্ন দেখেছিল সিঙ্গুরের বহু কৃষক পরিবার। তবে এমনটা হচ্ছে না। প্রকল্পের জমি চষে ফেলছে সারি সারি ট্র্যাক্টর। পতিত জমি ফিরে পাচ্ছে তার উর্বরতা। সিঙ্গুরে এখন সর্ষে ফলবে। শিগগিরই মুছে যাবে শিল্পের শেষ চিহ্নটুকু।