ঘড়ি চুরির অপবাদে আত্মঘাতী কিশোরী
ঘড়ি চুরির অপবাদ দিয়ে নিত্য হেনস্থা করছিল প্রতিবেশী পরিবার। অপমান সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত কার্বলিক অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী সুস্মিতা মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরে। আপসে মেটানোর পরামর্শ দিয়ে অভিযোগ না নেওয়ায় কাঠগড়ায় পুলিস।

ওয়েব ডেস্ক: ঘড়ি চুরির অপবাদ দিয়ে নিত্য হেনস্থা করছিল প্রতিবেশী পরিবার। অপমান সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত কার্বলিক অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী সুস্মিতা মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরে। আপসে মেটানোর পরামর্শ দিয়ে অভিযোগ না নেওয়ায় কাঠগড়ায় পুলিস।
মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশী করুণা নস্করের বাড়িতে খিচুড়ি আনতে গিয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা কিশোরী সুস্মিতা মণ্ডল। সেদিন সুস্মিতা চলে আসার পর বাড়ির একজনের হাতঘড়ি খোয়া যায় বলে নস্কর পরিবারের অভিযোগ।
রীতিমতো বাড়ি বয়ে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেয় পুলিস। বৃহস্পতিবার সকালে সুস্মিতার দাদাকে নস্কর পরিবারের লোকজন কটূক্তি করে বলে অভিযোগ।
অকালে বিদায় নিল সুস্মিতা। এদিনই নস্কর বাড়িতেই মেলে সেই ঘড়ির হদিস। এই খবর ছড়াতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। যথাসময়ে পুলিস ব্যবস্থা নিলে সুস্মিতার এমন করুণ পরিণতি কি আদৌ ঘটত, উঠছে প্রশ্ন।