সলমন খান হিট অ্যান্ড রান কেস: মামলা সংক্রান্ত সব নথি পুড়ে ছাই, আরটিআই-এর জবাবে জানাল সরকার
সলমন খানের হিট অ্যান্ড রান কেস সংক্রান্ত কোনও নথিই নাকি এখন মহারাষ্ট্র সরকারের হাতে নেই। একটি আরটিআই-এর জবাবে সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মন্ত্রালয়ে আগুন লেগে এই মামলা সংক্রান্ত সব নথিই নাকি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
ওয়েব ডেস্ক: সলমন খানের হিট অ্যান্ড রান কেস সংক্রান্ত কোনও নথিই নাকি এখন মহারাষ্ট্র সরকারের হাতে নেই। একটি আরটিআই-এর জবাবে সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মন্ত্রালয়ে আগুন লেগে এই মামলা সংক্রান্ত সব নথিই নাকি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
২০০২ সালে বান্দ্রায় একটি হিট অ্যান্ড রান কেসে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় সম্প্রতি দোষী সব্যস্ত হয়েছেন বলিউড তারকা সলমন খান। যদিও দোষী ঘোষণা হওয়ার দু'দিনের মধ্যেই মুম্বই হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মনসুর দারভেশ নামের এক অ্যাক্টিভিস্ট আরটিআই দায়ের করেন।
আরটিআই-এর জবাবে দাতভেশকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০১২ সালের ২১ জুন এই সংক্রান্ত সমস্ত ফাইল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্টেট সেক্রেটরিয়টে একটি অগ্নি কাণ্ডের পর এই ফাইলের কোনও হদিশ নেই, তাই বর্তমানে সেগুলি পুনরুদ্ধার অসম্ভব।
এই মামলা চলাকালীন কত গচ্চা গেছে সরকারের? দারভেশের এই প্রশ্নের উত্তরে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০০২ সাল থেকে চলতি বছরের ৬ মে পর্যন্ত ''এই মামলার একমাত্র যে বিষয়টি সরকারের জানা সেটি হল বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটার প্রদীপ ঘরাতের নিয়োগ। যিনি প্রতি শুনানি পিছু ৬ হাজার টাকা নিয়েছেন।''
''সরকার সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আগুনে পুরে যাওয়া সমস্ত নথি পুনরুদ্ধার করার। কিন্তু এই ঘটনাই সরকারের অকর্মণ্যতার বড় প্রমাণ। এই ভাবেই আরও কত মামলা কোনও সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি কে যানে। আমাদেরও সত্যিটা জেনে ওঠা সম্ভব হয়নি।'' সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন মনসুর দারভেশ।
২০০২ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর বান্দ্রায় মধ্যরাতে ফুটপাতে ঘুমন্ত ৫জনকে পিষে দিয়ে যায় সল্লু মিঞার টয়োটো ল্যান্ড ক্রুসার। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১ জনের। গুরুতর আহত হন আরও ৪জন।