Jacqueline Fernandez : ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপ, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিলেন জ্যাকলিন
২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় এবার বিচারপতির সামনে জবানবন্দি দিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় জ্যাকলিনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। জানা যাচ্ছে, ২০০ কোটির আর্থিক তথরুপের মামলায় নিজের জবানবন্দিতে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন জ্যাকলিন। সাফ জানিয়েছেন, এই মামলায় তিনি কোনও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেননি। এদিকে এই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/29/172472-ranita871263.jpg?itok=mVeYazYP)
![Jacqueline Fernandez : ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপ, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিলেন জ্যাকলিন Jacqueline Fernandez : ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপ, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিলেন জ্যাকলিন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/11/27/397781-9f9cedb9-f95c-4dd9-b07f-eda57a8ae3e9.jpg)
Jacqueline Fernandez, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় এবার বিচারপতির সামনে জবানবন্দি দিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। শনিবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে (জেলা দায়রা আদালত) ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দেন জ্যাকলিন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় জ্যাকলিনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। এর আগে দিল্লি পুলিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন জ্যাকলিন। তখনই জ্যাকলিন জানিয়েছিলেন, এবার তিনি যা বলার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বলবেন।
জানা যাচ্ছে, ২০০ কোটির আর্থিক তথরুপের মামলায় নিজের জবানবন্দিতে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন জ্যাকলিন। সাফ জানিয়েছেন, এই মামলায় তিনি কোনও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেননি। এদিকে এই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই জেলবন্দি রয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। তাঁর বিরুদ্ধে বহু হই প্রোফাইল ব্যক্তি, সরকারি আধিকারিক সহ বহু লোকের সঙ্গেই প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে এই মামলায় ইতিমধ্যেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন জ্যাকলিন। গত ১৫ নভেম্বর দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জ্যাকলিনের জামিন মঞ্জুর করেছে।
আরও পড়ুন-'দাদাসাহেব ফালকে' পেলেন পরিচালক সৌভিক দে
এর আগে ইডির তরফে জ্যাকলিনের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতকে জানানো হয়, জ্যাকলিন কখনই তদন্তে সহযোগিতা করেননি, এমনকি তিনি ভারত থেকে পালানোরও চেষ্টা করেছিলেন। তবে অনুমতি না পাওয়ায় সেটা করতে পারেননি। প্রসঙ্গত জ্যাকলিন শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তবে কী কারণে তিনি এদেশ ছাড়তে চাইছেন তাঁর কারণ দেখাতে পারেননি, তাই তাঁকে ভারত ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে জ্যাকলিন তদন্তে সহযোগিতা না করলেও এক্ষেত্রে অভিনেত্রী নোরা ফতেহি সহযোগিতা করেছেন বলেই ইডির তরফে জানানো হয়। এমনকি জ্যাকলিন প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করে ইডি। যদিও জ্যাকলিনের অভিযোগ ছিল ইডির তদন্ত মদদপুষ্ট বলে দাবি করেছিলেন জ্যাকলিন।
জ্যাকলিনের ম্যানেজার বলেছিলেন, 'ইডি যতবার তাঁকে ডেকেছে ততবারই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। এমনকী তাঁর কাছে যা যা কাগজপত্র ছিল, তা সবই জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এরপরও তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এই মামলায় ফেঁসেছেন অভিনেত্রী। সুকেশের এই তোলাবাজির মামলার শিকার তিনি। যদি এই অভিযোগ মেনেও নেওয়া হয় তাহলেও এই অভিযোগের ভিত্তিতে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দাঁড়ায় না।' অতীতেও জ্যাকলিনকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে তাঁর দাবি ছিল, তিনি এই মামলার একজন সাক্ষী। অভিনেত্রীর ম্যানেজার বলেছিলেন যে, ২০১৭ সালে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের যোগাযোগ হয় এবং তখন তিনি জ্যাকলিনকে বলেছিলেন যে তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার পরিবারের সদস্য।