Pankaj Tripathi: পিতৃহারা পঙ্কজ! শোকে বিহ্বল অভিনেতার পাশে অক্ষয়...
Pankaj Tripathi: সোমবার প্রয়াত অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির বাবা পণ্ডিত বানারস তিওয়ারি। মৃত্যুকালে অভিনেতার বাবার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। সোমবার উত্তরাখণ্ডে তিনি তাঁর আগামী ছবির শ্যুটিং করছিলেন। বাবাকে হারানোর খবর পাওয়া মাত্র শ্যুটিং ছেড়ে তাঁর গ্রামে ছুটলেন অভিনেতা। সোমবার গ্রামেই সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সময়টা ভালো যাচ্ছিল পঙ্কজ ত্রিপাঠির(Pankaj Tripathi)। বক্স অফিসে রমরমিয়ে চলছে OMG-2। সেই সাফল্যের মাঝেই হঠাৎ ছন্দপতন। সোমবার প্রয়াত অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির বাবা পণ্ডিত বানারস তিওয়ারি। বাবাকে হারানোর খবর পাওয়া মাত্র শ্যুটিং ছেড়ে তাঁর গ্রামে ছুটলেন অভিনেতা। মৃত্যুকালে অভিনেতার বাবার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। সোমবার উত্তরাখণ্ডে তিনি তাঁর আগামী ছবির শ্যুটিং করছিলেন। বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই তিনি উত্তরাখণ্ডের শ্যুটিং ছেড়ে বিহারে নিজের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পেশায় পুরোহিত ছিলেন অভিনেতার বাবা, জীবনের প্রথমদিকে তিনি ছিলেন কৃষক।
আরও পড়ুন- Sushmita Sen: ‘আমি স্বামী চাই, কিন্তু...’ কেন বিয়ে করতে পারছেন না সুস্মিতা?
কাজের সূত্রে পঙ্কজ ত্রিপাঠি মুম্বইয়ে থাকলেও তাঁর আসল বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জের বেলাসন্দ গ্রামে। সেখানেই অভিনেতার মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তাঁর ৯৯ বছরের বৃদ্ধ বাবা বানারস তিওয়ারি। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে অভিনেতার বাবার বয়স প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই হলেও তিনি সুস্থই ছিলেন। তাঁর কোনও বড় ব্যাধি ছিল না। অভিনেতার টিমের তরফ থেকে জানানো হয় যে ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে পঙ্কজ ত্রিপাঠির বাবা আর আমাদের মধ্যে নেই। ৯৯ বছর দীর্ঘ জীবন তিনি কাটিয়েছেন। পরিবাররে উপস্থিতিতে সোমবারই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বর্তমানে পঙ্কজ তাঁর গ্রাম গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।’
পঙ্কজের বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন পঙ্কজের সহ অভিনেতা অক্ষয় কুমার। তিনি টুইটে লেখেন, ‘আমার বন্ধু ও সহ অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির পিতাজির প্রয়াণের খবর শুনে খুবই দুঃখ পেলাম। মা-বাবার জায়গা কেউ পূরণ করতে পারে না। প্রভু ওঁর বাবার আত্মাকে তাঁর পায়ে স্থান দিক, এই কামনাই করি। ওম শান্তি।’
আরও পড়ুন- Srabanti: মর্ত্য তো কোন ছাড়! এবার মহাকাশেও 'তারা' শ্রাবন্তী...
এক সাক্ষাৎকারে বাবাকে নিয়ে পঙ্কজ ত্রিপাঠি বলেছিলেন, 'আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি ডাক্তার হই। আমি যে জায়গা থেকে উঠে এসেছি —সেটা উত্তর বিহারের গোপালগঞ্জের একটি গ্রাম। সেখানে মানুষ মাত্র দুটি পেশার কথাই জানেন, এক ইঞ্জিনিয়ার আরেকটা ডাক্তার। আমি কৃষক পরিবারের ছেলে। আমার গ্রাম ভীষণই প্রত্যন্ত এলাকায়। সেখানে এখনও কোনও সুনির্মিত রাস্তাও নেই। পরিবার আমার অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। তাঁদের নিজস্ব কোনো অপূর্ণ স্বপ্ন ছিল না, যে তাঁরা সেটা আমার উপর দিয়ে পূরণ করতে চাইতেন। তাঁদের একটাই চিন্তা ছিল আমি রোজি-রোটি জোগাড় করতে পারব কিনা। আমি ওঁদের বলেছিলাম, যে আমি যদি দিল্লিতে যাই, ওখানে আমি একটা সরকারি চাকরিও পেতে পারি। ওঁরা মধ্যবিত্ত মানুষ তো সরকারি চাকরি শুনে ভাবলেন, ঠিকই আছে। আমার বাবা তাই মত দিয়েছিলেন।’