শিশুকে কোলে নিয়ে বিড়ি বাধছেন মায়েরা, জানেনই না শিশু আক্রান্ত হচ্ছে তামাকের বিষে

বিড়ি বাঁধাই দস্তুর। সংসার প্রতিপালন ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে হবে তো। তাই শিশু সন্তানদের কোলে নিয়েই বিড়ি বাঁধেন ওঁরা। জানেন না, সন্তানদের দেহে প্রতিনিয়ত ঢুকছে মারাত্মক ক্ষতিকর তামাকের বিষ। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের সরিয়াবাদের মহিলারা এভাবেই নিজেদের অজান্তে ক্ষতি করে চলেছেন শিশু-স্বাস্থ্য।

Updated By: Jul 1, 2015, 08:39 PM IST
শিশুকে কোলে নিয়ে বিড়ি বাধছেন মায়েরা, জানেনই না শিশু আক্রান্ত হচ্ছে তামাকের বিষে

ওয়েব ডেস্ক: বিড়ি বাঁধাই দস্তুর। সংসার প্রতিপালন ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে হবে তো। তাই শিশু সন্তানদের কোলে নিয়েই বিড়ি বাঁধেন ওঁরা। জানেন না, সন্তানদের দেহে প্রতিনিয়ত ঢুকছে মারাত্মক ক্ষতিকর তামাকের বিষ। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের সরিয়াবাদের মহিলারা এভাবেই নিজেদের অজান্তে ক্ষতি করে চলেছেন শিশু-স্বাস্থ্য।

মহিলারা বিড়ি বাঁধছেন। মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরের জাতীয় সড়কের ধারে নজর করলেই দেখা যাবে এ ছবি। উত্তর দিনাজপুরের লক্ষাধিক মানুষ বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। রায়গঞ্জ ব্লকের সরিয়াবাদ এলাকায় প্রতিটি ঘরে মহিলারা বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। 

বাড়ির অল্প বয়সী মেয়েরাও মায়ের সঙ্গে কাজে হাত মেলায়। সংসারে অভাব। তাই পড়াশোনা বাদ দিয়েই বিড়ি বাঁধার কাজে যুক্ত হচ্ছে তারা। কেউ আবার বিড়ি বেঁধেই পড়ার খরচ জোগাচ্ছে। মহিলারা বিড়ি বাঁধেন শিশুসন্তানকে কোলে নিয়েই। তাদের ছোট্ট শরীরে ঢুকছে তামাকের মারাত্মক বিষ। শরীরে দুরারোগ্য রোগ বাসা বাঁধছে। দোমহনাতে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য চিকিত্সা কেন্দ্র আছে। কিন্তু রায়গঞ্জ থেকে দূরত্ব প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার। তাই যান না বিড়ি শ্রমিকরা।

এই তথ্য আছে কি শ্রম দফতরের কাছে?

নিজেদের অজান্তেই শিশুসন্তানদের চরম ক্ষতি করছেন বিড়ি শ্রমিকরা। কিন্তু তাঁদের সচেতন করবেন কে? তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্বই বা নেবেন কারা? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জুড়ে।

.