COVID BF.7: করোনা ঠেকাতে 3T উপরে জোর, চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় কোমর বাঁধছে কেন্দ্র!
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ সাড়ে তিনটেয় আজ বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয় সতর্ক করে দিয়েছেন, দেশে করোনা শেষ হয়ে যায়নি। তাই ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে ঘুম ছুটেছে ভারতের। প্রথমবার ভারতে যখন করোনা দেখা দিয়েছিল সেইসময় এনিয়ে প্রথম সরব হন রাহল গান্ধী। তাকে সেইসময় কেউ পাত্তা দেয়নি। ফল ভুগেছে গোটা দেশ। এবার আর সেই ঝুঁকি নিতে রাজী নয় কেন্দ্র। চিনে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন করে সংক্রমণ। রোজ সেখানে প্রায় দশ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এনিয়ে দেশের অধিকাংশ রাজ্য যুদ্ধকালীন তত্পরতায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এরপ্রকার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় কোনও বেঁধে নামছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে বড় ঘোষণা সরকারের, রাজ্যসভায় কী জানাল কেন্দ্র?
চিন শুধু নয়, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা প্রকোপ। পরিস্থিতি বিচার করে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের মতো রাজ্যে বিমানবন্দরগুলিতে বিদেশ থেকে আগত মানুষজনকে যাত্রীর উপরে বিশেষ নজর রাখা শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ সাড়ে তিনটেয় আজ বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয় সতর্ক করে দিয়েছেন, দেশে করোনা শেষ হয়ে যায়নি। তাই ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
করোনা সতর্কতায় কোন রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে
বিহার
রেলস্টেশন, বিমানবন্দর ও বাসস্ট্য়ান্ডে যে কোনও লোককেরই করোনা টেস্ট করা হবে। উদ্দেশ্য হল, কারও মধ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখা। পাশাপাশি সিনেমা হল, মল, বাজারে করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। কোনও ক্ষেত্রে রিপোর্ট সন্দেহজনক হলে তা আরটি-পিসিআর ও জেনোম সিকোয়েন্স করতে দিতে হবে।
দিল্লি
গতবার মহারাষ্ট্রের পর করোনার সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ছিল দিল্লিতে। একথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কোভিড মোকাবিলায় এবার কোমর বেঁধে নামছে দিল্লি। তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। এক্ষেত্রে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
গুজরাট
বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের উপরে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল। সম্প্রতি করোনা নিয়ে একটি বৈঠকে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে জোর দেওয়া হবে তিনটি টি-তে। এগুলি হল টেস্টিং, ট্রেসিং ও ট্রিটমেন্ট।
কর্ণাটক
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর জানিয়ে দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি করোনাবিধি লাগু হবে। রাজ্যে পাওয়া করোনা স্য়াম্পেলগুলি জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হবে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওড়িশা ও গুজরাটে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন BF.7 এর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ফলে চিনের এই নতুন ভ্যারিয়্য়ান্ট নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্রের। গত অক্টোবর মাসেই ওই ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া গিয়েছে গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে। পরের মাসেই ওই একই ভ্যারিয়্য়ান্ট পাওয়া যায় অন্য একজনের দেহে।