মাত্র ৪৭০ গ্রাম ওজনের শিশুকে বাঁচিয়ে দিল বেঙ্গালুরুর হাসপাতাল
জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ৪৭০ গ্রাম। বাবা, মা ভাবেননি সন্তানকে বাঁচানো যাবে। কিন্তু সেই এখন চার মাসের হাসিখুশি সুস্থ শিশু। ওজন ২ কেজি। বেঙ্গালুরুর হাসপাতাল থেকে বাবা, মায়ের সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি পেয়ে গেছে ছোট্ট সইদা।

ওয়েব ডেস্ক: জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ৪৭০ গ্রাম। বাবা, মা ভাবেননি সন্তানকে বাঁচানো যাবে। কিন্তু সেই এখন চার মাসের হাসিখুশি সুস্থ শিশু। ওজন ২ কেজি। বেঙ্গালুরুর হাসপাতাল থেকে বাবা, মায়ের সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি পেয়ে গেছে ছোট্ট সইদা।
দুবার মিসক্যারেজের পর তৃতীয়বার প্রচুর আশায় বুক বেঁধেছিলেন নাসরিন বানু। কিন্তু, আধ কেজিরও কম সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সব ছেড়ে দেন তিনি। ডাক্তাররা জানান সইদার বাঁচার সম্ভাবনা ছিল ১ শতাংশেরও কম। কিন্তু মিরাকল যখন হওয়ার থাকে তখন তা কেউ আটকাতে পারে না। চিকিত্সকদের তত্ত্বাবধানে আস্তে আস্তে ইনকিউবিটরে বেড়ে ওঠে সইদা। নাসরিন বলেন, "জন্মের সময় সইদা খুব ছোট ছিল। আল্লাহ ও ডাক্তারদের অনেক ধন্যবাদ। ওদের জন্য আমার সন্তান সুস্থ জীবন পেল।"
মনিপাল হাসপাতালে প্রচুর টিউব ও সিরিঞ্জের সাহায্যে ইনকিউবিটরে টানা ৩ মাস রাখা হয় সইদাকে। তার রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে থাকলেও হাল ছাড়েননি চিকিত্সকরা। সবকিছু অন্ধকার লাগলেও চেষ্টা চালিয়ে যান তারা। অবশেষে ধীরে ধীরে চিকিত্সায় সাড়া দিয়ে ওজন বাড়তে থাকে সইদার। মনিপাল হাসপাতালের নিওন্যাটোলজিস্ট প্রবীন ভেঙ্কটগিরি বলেন, "এই ধরনের পরিস্থিতিতে শিশুরা কম বাঁচে। সইদার সুস্থ হওয়া মিরাকেলের থেকে কম কিছু নয়। ওর সুস্থ জীবন কামনা করি।"
খবর ও ছবি সৌজনে ibnlive.in.com