জেনে নিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কোন খাবারগুলি!
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— আতঙ্ক বাড়ছে সারা বিশ্বে। চিনের পর শ্মশানে পরিণত হচ্ছে ইতালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর সঙ্গে ভারতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যদিও ভারতে বেশির ভাগ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের বয়স ৬০ বা তার উর্ধ্বে। কিন্তু আক্রান্ত হচ্ছে ছোট থেকে বড়, অনেকেই। তাই প্রত্যেকের সুরক্ষার কথা ভেবে লকডাউন জারি হয়েছে সারা দেশে। এই সময় প্রত্যেকেই মেনে চলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ।
কিন্তু একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে। লকডাউন থাকার কারণে এখন প্রত্যেকেই বাড়িতে। তাই সেক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের শরীরে গড়ে তুলুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
আরও পড়ুন— কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, জানালেন বিজ্ঞানীরা
১) নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। কারণ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত লেবু, ব্রকলি, আপেল, পেঁপে, গাজর ইত্যাদি খেতে পারলে ভাল।
২) অতিরিক্ত চিনি ও নুন মেশানো খাবার খাবেন না। কোনও খাবারই হাফ বয়েল খাবেন না। পুরোপুরি সিদ্ধ করে তবেই খাবেন। এছাড়াও বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এই সময়।
৩) গ্রিন ভেজিটেবল বেশি করে খান। এর সঙ্গে দুগ্ধ জাতীয় খাবারও সঠিক মাত্রায় খান। এর ফলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
৪) নিয়মিত পরিমাণ মতো জল পান করুন।
৫) তুলসী পাতায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন থাকে। এছাড়াও প্রাচীনকাল থেকেই ভেষজ গুনসমৃদ্ধ তুলসীপাতা রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। তাই নিয়মিত ১-২টি তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৬) মাশরুমে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও মিনারেল থাকে। যা মানব দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও মাশরুম রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। যা শরীরে জীবাণু বা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে।
৭) আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ থাকে, যা শরীরের ভাইরাসজনিত রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে সহায়তা করে।