ফ্লেভার্ড সিগারেট কি সাধারণ সিগারেটের তুলনায় কম ক্ষতিকর?
অনেকে মনে করেন, ফ্লেভার্ড সিগারেট খুব হালকা এবং এতে তামাকের পরিমাণ কম থাকে বা এর তামাক সাধারণ সিগারেটের তুলনায় অধিক পরিশোধিত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধূমপান স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকারক, এ কথাটা আমরা সকলেই জানি। প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই বড় বড় করে ক্যানসার আক্রান্তের ছবি এবং সতর্কবার্তা থাকলেও ধূমপায়ীদের কেউই সেটিকে পাত্তা দেন না। সম্প্রতি মুম্বই, অমদাবাদ, হায়দরাবাদ, লখনউ আর কলকাতায় সমীক্ষা চালিয়ে জানা গিয়েছে যে, প্রতি সপ্তাহে ধূমপায়ীদের ধূমপানের জন্য গড়ে খরচ হয় ৩৪৮ টাকা। সিগারেট ও তামাক সেবনকারীদের নিয়ে সাম্প্রতি একটি সমীক্ষা জানা গিয়েছে যে, কলকাতায় ধুমপায়ীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যেখানে দেশের বাকি অংশে ধুমপায়ী ৪৩ শতাংশ, সেখানে কলকাতায় ৪৯ শতাংশ ধুমপায়ী রয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সিগারেট-বিড়ির ধোঁয়ায় রয়েছে প্রায় ১০০টি অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়ানিক। এগুলির মধ্যে অন্তত ৭০টি রাসায়ানিক উপাদান সরাসরি ক্যানসারের জন্য দায়ি। গবেষকদের মতে, সাধারণ সিগারেটের চেয়েও মারাত্মক যে কোনও ফ্লেভার্ড সিগারেট। মৌরি, চকোলেট, ভ্যানিলা, মেন্থল ইত্যাদি নানা স্বাদের সিগারেট বাজারে উপলব্ধ।
সম্প্রতি এক মার্কিন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ফ্লেভার্ড সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়েও বহুগুণ বেশি ক্ষতিকারক। অনেকে মনে করেন, ফ্লেভার্ড সিগারেট খুব হালকা এবং এতে তামাকের পরিমাণ কম থাকে বা এর তামাক সাধারণ সিগারেটের তুলনায় অধিক পরিশোধিত। ফলে স্বাস্থ্যের জন্য ফ্লেভার্ড সিগারেট তেমন একটা ক্ষতিকারক নয়। নতুন এই গবেষণা বলছে, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
আরও পড়ুন: খুসখুসে কাশিতে জেরবার? চকোলেটই এর সেরা সমাধান!
বিখ্যাত একটি মার্কিন তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মিচ জেলার একটি সাক্ষাত্কারে জানান, ফ্লেভার্ড সিগারেটে তামাকের পরিমাণ একেবারেই কম থাকে না। এই সিগারেটগুলিতেও সাধারণ সিগারেটের মতো একই পরিমাণ তামাক থাকে। তবে ফ্লেভার্ড সিগারেটে এই তামাকের সঙ্গে যুক্ত করা হয় বিশেষ রাসায়নিক যা সিগারেটে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ এনে দেয়। ফলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর!
তাই গবেষকদের পরামর্শ, এড়িয়ে চলুন কৃত্রিম স্বাদযুক্ত সিগারেট। আর সম্ভব হলে জীবনযাত্রা থেকে বাদ দিন যে কোনও সিগারেটই। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে, বাড়বে সুস্থ জীবনের মেয়াদ।