হেঁচকি কমানোর সহজ উপায়ে
হেঁচকি সকলেরই ওঠে। কিন্তু যখন ওঠে তখন যেন থামার নাম বন্ধ করে না। যার জেরে কোনও দরকারী কাজ করতে গিয়েও ভুলে যাই আমরা। অনেক সময় জল খেলেও যেন যেতেই চায় না এই হেঁচকি। কিন্তু এখানে হেঁচকি কমানোর কতগুলি উপায় দেওয়া হল। যার মাধ্যমে কিছুক্ষণের মধ্যেই কমে যাবে হাঁচকি। তবে এক ঝলকে দেখে নিন কীভাবে কমাতে পারবেন আপনার হেঁচকিকে...
ওয়েব ডেস্ক: হেঁচকি সকলেরই ওঠে। কিন্তু যখন ওঠে তখন যেন থামার নাম বন্ধ করে না। যার জেরে কোনও দরকারী কাজ করতে গিয়েও ভুলে যাই আমরা। অনেক সময় জল খেলেও যেন যেতেই চায় না এই হেঁচকি। কিন্তু এখানে হেঁচকি কমানোর কতগুলি উপায় দেওয়া হল। যার মাধ্যমে কিছুক্ষণের মধ্যেই কমে যাবে হাঁচকি। তবে এক ঝলকে দেখে নিন কীভাবে কমাতে পারবেন আপনার হেঁচকিকে...
১. স্ট্র দিয়ে জল খান
এক গ্লাস জল মুখ দিয়ে না খেয়ে স্ট্র দিয়ে খান। এক গ্লাস জলে একটি স্ট্র ডুবিয়ে দিন। তারপর কান আঙুল দিয়ে বন্ধ করে রাখুন। এবার স্ট্রয়ের মাধ্যমেই জল খান।
২. মিষ্টি খান
খুব বেশি হেঁচকি উঠলে মিষ্টি জাতীয় কোনও খাবার খান। যেমন খেয়ে নিতে পারেন এক চামচ চিনি অথবা একটি রসগোল্লাও খেতে পারেন।
৩. ঢেকুঁর তুলুন
যখন খুব বেশি হেঁচকি উঠবে তখন জোড় করে ঢেঁকুর তুলুন। দেখবেন ঢেঁকুর তুলতে তুলতে আস্তে আস্তে হেঁচকি কমে যাবে।
৪. লেবু খান
লেবুর রস অথবা পাতি লেবু এক টুকরো নিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন টকের প্রভাবে আপনার ঢেঁকুর ওঠা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
৫. নিঃশ্বাস নিন
যতটা পারবেন জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিন। পারলে মুখ হাঁ করে নিঃশ্বাস নিন। অথবা কিছুক্ষণ দম বন্ধ করে রাখুন। দেখবেন ধীরে ধীরে কমে যাবে হেঁচকি।
৬. মনকে অন্য দিকে ঘোরান
হেঁচকি উঠলে মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন। কোনও দরকারি কথা চিন্তা করুন। অথবা মনযোগ সহকারে কোনও কাজ করার চেষ্টা করুন। দেখবেন কমে যাবে।
৭. একটি কাগজের ব্যাগে শ্বাস প্রশ্বাস নিন
একটি কাগজের ব্যাগ নিন আর তাতে মুখ রেখে শ্বাস প্রশ্বাস নিন। এতে আপনার রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় আর সেই সঙ্গে এটি হেঁচকি থামাতেও দারুণভাবে কাজ করে।
৮. ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা
সঙ্গে কেউ থাকলে তাকে বলুন সে যেন আপনাকে ভয় পাইয়ে দেন। আর কেউ না থাকলে ভুতের সিনেমা দেখে নিজেকে ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করুন। কারণ ভয় পেলেই আপনার নার্ভগুলো চমকে উঠবে এবং আপনার হেঁচকি ওঠাও কমে যাবে।