জ্বর জ্বর লাগছে? ইনফ্লুয়েঞ্জা নয় তো?
চিনে নিন ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ। সতর্ক হয়ে যান আগেভাগেই...
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এই সংক্রমণের ফলে অনেকেরই মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণে হার্ট ও মস্তিষ্কের পেশিতেও সমস্যা তৈরি হয়। জ্বর জ্বর ভাব, গা-হাত-পায়ে ব্যথাকে সাধারণ জ্বর ভেবে ভুল করলেই বিপদ! তবে জ্বর জ্বর লাগলেই যে তা ইনফ্লুয়েঞ্জা, এমনটাও কিন্তু সবসময় বলা যায় না। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাইনো ভাইরাসের আক্রমণে সর্দি-কাশি হয়ে থাকে। চিকিত্সকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টাইপ এ ও টাইপ বি-র সংক্রমণ হলে তবেই তাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা বলা হয়।
জার্মানির রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইদানীং, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের চরিত্র দ্রুত বদলে যাওয়ার ফলে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক এর মোকাবিলা করতে পারছে না। ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় সব সময় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার না-ও করা হতে পারে। তাই অনেক সময় চিকিত্সকেরা ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় প্যারাসিটামলও দিয়ে থাকেন। তবে ওষুধের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন চিকিত্সকেরা।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে কয়েকটি জরুরি তথ্য
চিকিত্সকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে সেরে উঠতে সাধারণত দিন সাতেকের মতো সময় লাগে। সেরে ওঠার পর আরও দিন তিনেক মাথাব্যথা, খিদে না পাওয়া, ঝিমুনি ভাব, দুর্বলতা থেকেই যায়।
ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা:
প্যারাসিটামল বা সাধারণ জ্বরের ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও এই অসুখ সারানো হয়। এ সবের পরও জ্বর খুব বেড়ে গেলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানোই ভাল। তবে যে কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার।
ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ এড়ানো যায় কী ভাবে:
১) ধুলো-বালি এড়িয়ে চলুন।
২) হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করুন। সর্দি-কাশি হলে অন্যদের ব্যবহার করা জিনিস (যেমন, গামছা, তোয়ালে ইত্যাদি) ব্যবহার করবেন না।
৩) বেশি করে জল খান।
৪) বেশি করে সবুজ শাক-সবজি আর ফল খান।
৫) দিনের বেশিরভাগ সময় রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি-কাশি থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।