Measles Outbreak in India: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে হাম; বাড়ছে মৃত্যু, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
এ রাজ্যের জন্য চিন্তার বিষয় হল, হাম ও রুবেলার টিকাকরণ গোটা দেশে শুরু হলেও এরাজ্যে তা শুরু হয়নি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওই ক্যাম্প হবে বলে ঠিক হয়েছে। শিশু অবস্থায় যারা ওই টিকা নেয়নি তাদের জন্য ওই টিকার ব্যবস্থা করা হয়
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: মহারাষ্ট্র-সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে হাম। মুম্বইয়ে ইতিমধ্যেই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২২০। এই রোগ দেখা যাচ্ছে গুজরাট, কেরালা, হরিয়ানা, ঝড়খণ্ড ও বিহারেও। সবকটি রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এনিয়ে সতর্কবার্তা জারি করল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা(হু)। হু-র দাবি, করোনার পরে ভারতে উদ্বেগ বাড়াবে হাম।
আরও পড়ুন-বড় চমক, ৭০০০ কোটিতে বিসলেরি কিনছে টাটা!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সতর্কবার্তায় দুটি জিনিসের উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে হাম ও রুবেলাকে নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছিল কেন্দ্র। এর জন্য টিকাকরণ করা হচ্ছিল। সেই টিকাকরণ ক্যাম্পের দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের কোথাও কোনও জায়গায় হাম বা রুবেলা সংক্রমণ বাড়ছে কিনা সেদিকে নজর দিতে। নভেম্বর থেকে মার্চ হাম ও রুবেলা বেশি দেখা যায়। ফলে দেখতে হবে কোথাও আক্রান্তের সংখ্যা হঠাত্ বেড়ে যাচ্ছে কিনা। কিন্তু এ রাজ্যের জন্য চিন্তার বিষয় হল, হাম ও রুবেলার টিকাকরণ গোটা দেশে শুরু হলেও এরাজ্যে তা শুরু হয়নি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওই ক্যাম্প হবে বলে ঠিক হয়েছে। শিশু অবস্থায় যারা ওই টিকা নেয়নি তাদের জন্য ওই টিকার ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বয়সীদের ১টি ডোজ দেওয়ার কথা হয়েছে। ২০১৮ সালে ওই টিকাকরণের ক্যাম্প করার কথা ঠিক হলেও তা বাতিল করা হয়। এরাজ্যে টিকাকরণের হার ভালো। কিন্তু রাজ্যের কোনও কোনও পকেট যেগুলো টিকাকরণের বাইরে রয়ে গিয়েছে সেগুলি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
হামের সংক্রমণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক যোগীরাজ রায় বলেন, গত ১০ বছর পশ্চিমের দেশগুলিতে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কারণ ওইসব দেশে হামের টিকা নিতে একটা অনীহা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে এই টিকার বেশিরভাগ শিশুকেই দেওয়া হয়। যেসব জায়গায় এই টিকা নেওয়া হয়নি সেখানেই হাম বাড়ছে। তাই টিকাকরণ বাড়াতে হবে। আমাদের রাজ্যে এই টিকাকরণ নিরানব্বই শতাংশের বেশি শিশুকে দেওয়া হয়েছে। তাই এখানে প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা বেশ কম।