বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে জেনে নিন আপনি এ রোগে আক্রান্ত কিনা

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বে বর্তমানে ৪২.৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত।

Updated By: Nov 14, 2018, 04:05 PM IST
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে জেনে নিন আপনি এ রোগে আক্রান্ত কিনা

নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ডে বা বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বে বর্তমানে ৪২.৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। ডায়বেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০০। বছরে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ডায়বেটিসের কারণ। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ায় হার।

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। এই রোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হল, অষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বটে, কিন্তু তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। তাই সচেতন থাকুন। জেনে নিন ডায়বেটিসের কিছু লক্ষণ।

১) বিশেষজ্ঞদের মতে, দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে শরীর থেকে সুগার বের করে দেওয়ার জন্য। সে কারণেই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।

২) খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ। সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে দেহে জলের ঘাটতি হয়। আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

৩) যখন শরীর থেকে সুগার বের করে দেয়ার জন্য কিডনিতে চাপ পড়ে তখন ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। আর তখন কিডনি দেহের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এতে শরীরে জলর ঘাটতি হতে থাকে, যার ফলে ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়।

৪) হাত ও পায়ের আঙুল বা পুরো হাত অবশ বোধ করা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ের চলে গেলে এই লক্ষণ প্রকাশ পায়।

৫) দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তির উপর। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়।

৬) ডায়েট বা ব্যায়াম না করেই হুট করে অনেক বেশি ওজন কমতে থাকা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

৭) শরীরের কোনও অংশে কেটে বা ছড়ে গেলে তা না শুকানো এবং শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগার বিষয়টিও শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এই সব লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

.