তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার আড়ালে প্রতারণা চক্র, সল্টলেকে গ্রেফতার ৭
সামনে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। আর আড়ালে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একের পর এক প্রতারণা। এমনই প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল সল্টলেকে। গ্রেফতার করা হল সাতজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে বিধাননগর পুলিস। বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের চারজনকে আট দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। বাকি তিনজনের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: সামনে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। আর আড়ালে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একের পর এক প্রতারণা। এমনই প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল সল্টলেকে। গ্রেফতার করা হল সাতজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে বিধাননগর পুলিস। বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের চারজনকে আট দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। বাকি তিনজনের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়ার তৈরি এবং তা বিক্রির প্রস্তাব যখন দেওয়া হোত, তখন পোর খাওয়া ব্যবসায়ীরাও বুঝতে পারেনি আসলে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নাম করে রমিরমিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি প্রতারণা চক্র। ইংল্যান্ডের বেশ কিছু সংস্থা এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মীদের ফাঁদে পা দিয়ে দেয়। টাকা লেনদেনের জন্য দেওয়া হয় ইংল্যান্ডে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসীদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর। সেই অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন হলেই, মোটা অঙ্কের টাকা কেটে হাওলা মারফত সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হোত এ দেশে প্রতারকদের কাছে। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের মারফত বিষয়টি প্রথম নজরে আসে বিধাননগর পুলিসের গোয়েন্দাদের। অভিযান চালিয়ে সাতজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতেরা প্রত্যেকেই কলকাতা ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণা, ১২০-র বি ধারায় ষড়যন্ত্র সহ জালিয়াতি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রতারণার জাল কতদূর বিস্তৃত ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে বিধাননগর গোয়েন্দা পুলিস।