অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি করলেই ৭ বছরের জেল ও জরিমানা!
১৪ এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া হবে নাকি তার মেয়াদ বাড়ানো হবে, সেই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য, ওষুধ বা মেডিক্যাল সামগ্ৰী নিয়ে যারা কালোবাজারি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য, ওষুধ বা মেডিক্যাল সামগ্ৰী নিয়ে কালোবাজারি করলে ৭ বছরের জেল ও জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় গোটা দেশে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই লকডাউনের আওতা থেকে বাইরে রাখা হয় বাজার, ওষুধ সহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ও পরিষেবাকে। কিন্তু পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কালোবাজারি করছেন বলে অভিযোগ সামনে আসে। আর তাতেই এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া হবে নাকি তার মেয়াদ বাড়ানো হবে, সেই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন লকডাউন প্রসঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এরকম এক অবস্থায় ভিডিয়ো কন্ফারেন্সে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যর মূল বিষয় হল, করোনা সম্পর্কে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ১৪ এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া প্রায় অসম্ভব। এনিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদর সঙ্গে কথা বলা হবে।
মোদী বলেন, মনে হয় না লকডাউন খুব তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে। করোনার আগে ও পরে জীবনযাত্রা অনেকটাই বদলে যাবে। মানুষের সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বদল আসবে। দেশবাসীর সামনে এখন লম্বা লড়াই। উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন, রেশন নিয়ে কালোবাজারি রুখতে কড়া পদক্ষেপ খাদ্যমন্ত্রীর, চালু টোল ফ্রি নম্বরও