টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকেও করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রৌঢ়
ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে গোটা বিশ্বে এমন ঘটনা খুঁজে পাওয়া দায়। বাঁচা তো দূরের কথা, যেখানে সুস্থ হওয়ার কোনও আশাই ছিল না, সেখাম থেকেই কার্যত কামব্যাক করেছেন তিনি।
![টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকেও করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রৌঢ় টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকেও করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রৌঢ়](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/05/08/249080-untitled-1.gif)
নিজস্ব প্রতিবেদন: এভাবেও ফিরে আসা যায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েই ফিরে গেলেন ব্যক্তি। মিরাকেলই বটে, চিকিৎসকরা অন্তত এমনটাই বলছেন। সম্ভবত সারা বিশ্বে অন্যতম একটি রেকর্ড এটি।
ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে গোটা বিশ্বে এমন ঘটনা খুঁজে পাওয়া দায়। বাঁচা তো দূরের কথা, যেখানে সুস্থ হওয়ার কোনও আশাই ছিল না, সেখাম থেকেই কার্যত কামব্যাক করেছেন তিনি।
গত ২৯ মার্চ জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বছর ৫২-র এক ব্যক্তি। সেদিনই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রেখে শুরু হয় চিকিৎসা। এখানেই শেষ নয়, বাধ্য হয়ে চিকিৎসকদের ট্রাকিওষ্টমী করতে হয়। এরপরই ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন রোগী। এরপর তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বাইরে বের করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা, ওই ব্যক্তি বলছেন, কী বলব বুঝতে পারছি না, আমার কথা জানানোর কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। সকলকে অভিনন্দন। এভাবেই লড়াইটা চলুক। আমিও আছি এই লড়াইয়ে।ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ সাশ্বতী সিনহা বলেন, কঠিন পরিস্থিতিতেও আমরা লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। পুরো টিম কাজ করেছে।
হাসপাতাল গ্রুপের সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন,
করোনা আক্রান্তের এভাবে প্রাণ বাঁচানোর ঘটনা কিন্তু উদাহরণ। চিকিৎসক কর্মীরা এই সাফল্যের আসল মানুষ। স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স চিকিৎসকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার বন্ধ হোক, এটাই কাম্য।