বহু বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেই থেকে যাচ্ছেন অভিজিত্‍ চক্রবর্তী

বহু বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিত্ চক্রবর্তীই। তাঁর নামেই শিলমোহর দিয়ে ইতিমধ্যেই ফাইল চলে গিয়েছে শিক্ষা দফতরে। ছুটির পরই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন উপাচার্যের নাম ঘোষণা করার কথা শিক্ষা দফতরের।     

Updated By: Oct 6, 2014, 08:26 AM IST
বহু বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেই থেকে যাচ্ছেন অভিজিত্‍ চক্রবর্তী

 

ওয়েব ডেস্ক: বহু বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন অভিজিত্ চক্রবর্তীই। তাঁর নামেই শিলমোহর দিয়ে ইতিমধ্যেই ফাইল চলে গিয়েছে শিক্ষা দফতরে। ছুটির পরই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন উপাচার্যের নাম ঘোষণা করার কথা শিক্ষা দফতরের।     

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেই থেকে যাচ্ছেন অভিজিত্ চক্রবর্তী। শুধু থেকেই যাচ্ছেন না, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সিলমোহরে আগামী চার বছরের জন্য রীতিমতো উপাচার্যের স্থায়ী পদেই বসতে চলেছেন তিনি। অথচ এই উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে গোটা কলকাতা যখন উত্তাল হয়ে উঠেছিল, তখন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির সুপারিশকেই মেনে নিলেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করার জন্য তিন সদস্যের ওই সার্চ কমিটির সুপারিশে প্রথমেই নাম ছিল এখনকার অস্থায়ী উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তীর। কিন্তু এরপরই ঘটে যায় যাদবপুর কাণ্ড। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংস্কৃতি চলাকালীন এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েক জন ছাত্রের দিকে। এই ঘটনার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে সরব হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। চলে উপাচার্যকে ঘেরাও। ঘেরাও তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিতরে পুলিস ডাকার জন্য দেশে-বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন অভিজিত্ বাবু।

তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-সহ সমাজের সর্বস্তরের বহু মানুষ। কলকাতা দেখে ছাত্রছাত্রী-বুদ্ধিজীবীদের অভূতপূর্ব প্রতিবাদ মিছিল। অভিজিত্ বাবুর পদত্যাগের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের কাছেও দরবার করেন ছাত্রছাত্রীরা। এমনকী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠনও উপাচার্যের পাশে দাঁড়ায়নি। তাঁরাও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানান। কিন্তু উপাচার্যের সিদ্ধান্তকে বরাবর সমর্থন করে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। নির্যাতিতা ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কথা বলেন তাঁর বাবার সঙ্গেও।

তারপরেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসেন নির্যাতিতার বাবা। অথচ আগে তিনিই অভিজিত্ বাবু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পুজোর ছুটি পড়ে যায়। এরই মধ্যে রবিবার জানা গেল, সার্চ কমিটির সুপারিশ মেনে অভিজিত্ চক্রবর্তীকেই স্থায়ী উপাচার্য করার বিষয়ে শিলমোহর দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরে। এখন শুধু নাম ঘোষণার অপেক্ষা। পুজোর পরে সার্কুলার জারি করার কথা শিক্ষা দফতরের।  

.