Amherst Street police station: আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার বিরুদ্ধে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ! রাস্তা আটকে বিক্ষোভ পরিবারের
ফের খাস কলকাতায় থানায় পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। এবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। চুরির মোবাইল কেনায় থানায় মারধর করার অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এলে মৃত্যু বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ পরিবারের, কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করে বিক্ষোভ। চোরাই মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে থানায় ডাকা হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, থানা থেকে ফোনে বলা হয় মৃত্যু হয়েছে অশোক সাউ নামে এক ব্যক্তিকে। পুলিসি মারধরেই মৃত্যু,অভিযোগ বিজেপির। মৃত ব্যক্তির নাম অশোক সাউ। প্রতিবাদে কলেজ স্ট্রিটে অবরোধ বিজেপির।
আরও পড়ুন, C V Ananda Bose on Joynagar Death: তৃণমূল নেতা খুনে তোলপাড় জয়নগর, এবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল
আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে আনা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই থানা থেকে উদ্ধার হল তাঁর দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, তাঁর শরীরে রয়েছে আঘাতের চিহ্নও। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অশোক সাউকে যখন আনা হয় জরুরি বিভাগে তখন তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। নাকে রক্তের দাগ ছিল। কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করে পুলিসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত পুলিসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
পুলিস সূত্রে দাবি, ২৭ জুলাই শ্যামপুকুর থানায় মোবাইল চুরির অভিযোগ ওঠে। বিকেল ৫.০৫-এ স্থানীয় থানায় ফোন জমা দেওয়ার নির্দেশ। এই ব্যক্তি স্থানীয় বিজেপি নেতা মদন লালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিজেপি নেতা ট্রাফিক সার্জেন্ট ভিপি সাউকে ফোন করেন। থানার সিসিটিভি অনুযায়ী ৫.৪৩ শে থানায় ঢোকেন। আবার বেরিয়ে এসে ৬.০৫-এ থানায় ঢোকেন। সন্ধে ৬.০৯-এ থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ বোধ করেন। ৬.১১ মিনিটে ওই ব্যক্তিকে থানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে হাজির হন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ৷ মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের দাবি, পুলিস যদি অশোককে পিটিয়ে মেরে না থাকে তাহলে থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হোক। তাহলেই তো সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালে নয়, কমান্ড হাসপাতালে মৃতর ময়নাতদন্তের দাবিও তুলেছে পরিবার। এখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কলেজ স্ট্রিট চত্বর অবরোধ করেন মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে পৌঁছেছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও পরিবারের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা কোনও কথা শুনতে চাইছেন না।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)