অনিন্দ্য মিত্রর পদত্যাগ, আজই নিযুক্ত নতুন এজি
পদত্যাগ করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য কুমার মিত্র। নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে স্থলাভিষিক্ত হলেন বিমল চ্যাটার্জি। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান অনিন্দ্য মিত্র রাজ্যপালের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। তিনি জানান শুক্রবারই অনিন্দ্য মিত্রর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছে আইনমন্ত্রক। আইনমন্ত্রী আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী এর পর বিমল চ্যাটার্জিকে এই পদের স্থলাভিষিক্ত করেন।
পদত্যাগ করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য কুমার মিত্র। নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে স্থলাভিষিক্ত হলেন বিমল চ্যাটার্জি।
শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান অনিন্দ্য মিত্র রাজ্যপালের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। তিনি জানান শুক্রবারই অনিন্দ্য মিত্রর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছে আইনমন্ত্রক। আইনমন্ত্রী আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী এর পর বিমল চ্যাটার্জিকে এই পদের স্থলাভিষিক্ত করেন।
প্রশাসনিক ও তৃণমূল সূত্রের খবর, বিরোধের শুরু সিঙ্গুরের জমি ফেরতের বিল নিয়ে। তখন অ্যাডভোকেট জেনারেলের আপত্তি শোনা হয়নি। পরবর্তী সময়ে বন্দীমুক্তি সহ বেশ কয়েকটি মামলার শুনানিতে কার্যত অপদস্থ হতে হয় তাঁকে।
অন্য দিকে একাধিক মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে হাইকোর্টের তিরস্কার, একের পর এক মামলায় সরকারের হারের জেরে অ্যাডভোকেট জেনারেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। অ্যাডভোকেট জেনারেলের ঘণিষ্ঠ তৃণমূল শিবির অবশ্য দাবি করেছে, বিভিন্ন মামলায় আইন দফতর ঠিকমত তথ্য সরবরাহ করছিল না। তাঁকে না জানিয়েই আইন দফতর সরকারি আইনজীবী নিয়োগ-সহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তৃণমূলের আইনজীবী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গেও বিরোধ বাধে অ্যাডভোকেট জেনারেলের।
বৃহস্পতিবার জিটিএ-র বৈধতা নিয়ে সুবাস ঘিসিংয়ের দায়ের করা গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির সময় অ্যাডভোকেট জেনারেল গরহাজির থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। পরে তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশও করে আসেন অনিন্দ্য মিত্র। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টে তিন বিচারপতির বেঞ্চে অন্য একটি মামলার শুনানিতেও হাজির ছিলেন না তিনি। তখনই তাঁর পদত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাডভোকেট জেনারেলের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। তারপরেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অনিন্দ্য মিত্র। বুধবারই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। দুদিন পরে তা প্রকাশ্যে জানাল সরকার।