সৌন্দার্যায়নে ডোবা হল সুসজ্জিত জলাশয়, APJ আবদুল কালামের নামে পার্ক
ছিল ডোবা। মুখ্যমন্ত্রীর জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের অনুপ্রেরণায় সেই ডোবাই এখন সুসজ্জিত জলাশয়। সেই জলাশয়কে ঘিরেই স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে পশ্চিম বেহালার ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গড়ে উঠেছে নতুন পার্ক। নাম APJ আবদুল কালাম পার্ক।
![সৌন্দার্যায়নে ডোবা হল সুসজ্জিত জলাশয়, APJ আবদুল কালামের নামে পার্ক সৌন্দার্যায়নে ডোবা হল সুসজ্জিত জলাশয়, APJ আবদুল কালামের নামে পার্ক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2016/02/24/50325-5jol.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: ছিল ডোবা। মুখ্যমন্ত্রীর জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের অনুপ্রেরণায় সেই ডোবাই এখন সুসজ্জিত জলাশয়। সেই জলাশয়কে ঘিরেই স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে পশ্চিম বেহালার ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গড়ে উঠেছে নতুন পার্ক। নাম APJ আবদুল কালাম পার্ক।
কয়েক বছর আগেও এই জলাশয় ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মাথাব্যাথার কারণ। জলের অভাবে পরিণত হয়েছিল ডোবায়। এলাকার যাবতীয় নোংরা, আবর্জনা জমা হত ডোবায়। বর্ষাকালে ময়লা জল দুপাড় ছাপিয়ে ঢুকে যেত মানুষের বাড়িতে। অবশেষে সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন এলাকার মানুষ। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র পশ্চিম বেহালার একশো আঠেরো নম্বর ওয়ার্ডে সেই ডোবাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে নতুন একটি পার্ক। যার পুরো কৃতিত্বই পুরসভার।
ডোবার মাটি পরীক্ষা করে দেখা যায় যে সেটি জল ধরে রাখতে অক্ষম। আরও দেখা যায়, মাটির সত্তর ফিট গভীরে জলস্তর রয়েছে। তখন মাটির নিচে পাইপ বসিয়ে সেই জল তুলে এনে ডোবায় ভরার উদ্যোগ নিল পুরসভা। তবে তার আগে জলাশয়টি যাতে জল ধরে রাখতে সক্ষম হয়, তার জন্য এঁটেল মাটি দিয়ে নতুন একটি স্তর তৈরি করা হয়। এভাবেই ডোবা পরিণত হল সুন্দর একটি জলাশয়ে। জলে ছাড়া হল বিভিন্ন ধরনের মাছ। বসল ফোয়ারা। গোটা এলাকার সৌন্দর্য্যায়ন বাড়াতে পুকুরকে ঘিরে একটি পার্কও তৈরি করল পুরসভা। নাম APJ আবদুল কালাম পার্ক। মঙ্গলবার সেই পার্কের উদ্বোধন করলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
১৯৬৯ সালে বাম সরকারের আমলে জলাশয়টি তুলে দেওয়া হয় তত্কালীন সাউথ সাবার্বন মিউনিসপালটির হাতে। অভিযোগ, তখন থেকেই অজত্নে পড়ে, শেষে ডোবার চোহারা নেয় জলাশয়। রাজ্যে পালা বদলের পর সেই ডোবা সাজাতে উদ্যোগী হন স্থানীয় কাউন্সিলর তারক সিং। শেষপর্যন্ত মেয়র এবং পুরসভার সহায়তায় গড়ে উঠল এই নতুন পার্ক।