আরাবুলের জামিন খারিজ করল আদালত
আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন খারিজ করল বারুইপুর আদালত। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তথ্যপ্রমাণ প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে আরাবুলের জামিনের আবেদন নাকোচ করে আদালত।
আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন খারিজ করল বারুইপুর আদালত। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তথ্যপ্রমাণ প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে আরাবুলের জামিনের আবেদন নাকোচ করে আদালত।
রেজ্জাক মোল্লার উপর আক্রমণের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আরাবুল ইসলামের জামিনের বিরোধিতা করে বারুইপুর আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সেভাবে কোনও জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি ধৃত তৃণমূল নেতাকে। বাম মিছিলে হামলার ঘটনায় আদালতে কোনও তথ্যপ্রমাণ জমা করেনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিস। প্রশ্ন উঠেছে তদন্তে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে।
বারুইপুর আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, হাসপাতালে তাঁকে কেন দেখতে গেলেন না তৃণমূল নেত্রী? উত্তরে আরাবুল ইসলামের জবাব, "সেকথা নেত্রীকেই জিজ্ঞেস করুন। তাহলে কি নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন আরাবুল ইসলাম? এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
রেজ্জাক মোল্লার ওপর হামলার ঘটনায় তদন্তের বিষয়ে মামলার শুনানি ছিল আজ। গত মঙ্গলবার, নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন রেজ্জাকপুত্র মুস্তাক আহমেদ। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুস্তাক আহমেদ নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। আজ হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে মামলার শুনানি হয়।
ভাঙরে গত ৬ জানুয়ারি সিপিআইএমের প্রবীণ নেতা রেজ্জাক মোল্লার উপর হামলা হয়। হামলায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতেলে ভর্তি হন তিনি। তাঁকে হামলার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে বহু টালবাহানার পর চলতি মাসের ১৬ তারিখ গ্রেফতার করা হয়।
প্রবীণ সিপিআইএম বিধায়ককে মারধর ও বামনঘাটায় সিপিআইএম কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় গ্রেফতারের পর পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন আইসিসিইউতে ভর্তি হন আরাবুল। মুস্তাকের অভিযোগ, সে সময় আরাবুলকে জেরা করেনি পুলিস।