মন্ত্রিত্ব খোয়ানোয় দিলীপের 'হাঁফ ছেড়ে বাঁচায়' ক্ষুব্ধ Babul; অনড় রাজ্য সভাপতি
'কে কী ভাবে এর ব্যাখ্যা করেছেন জানি না,' বাবুলের (Babul Supriyo) ফেসবুকে পোস্টের জবাব দিলীপের (Dilip)।
![মন্ত্রিত্ব খোয়ানোয় দিলীপের 'হাঁফ ছেড়ে বাঁচায়' ক্ষুব্ধ Babul; অনড় রাজ্য সভাপতি মন্ত্রিত্ব খোয়ানোয় দিলীপের 'হাঁফ ছেড়ে বাঁচায়' ক্ষুব্ধ Babul; অনড় রাজ্য সভাপতি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/07/10/331988-babuldilip.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র 'মধুর' সম্পর্ক। সেই 'মাধুর্য' আরও একবার সাধারণ্যে। তাঁর সম্পর্কে দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্যকে বিঁধে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাবুল (Babul Supriyo)। তাঁর শ্লেষ,'আমার 'হাঁফ ছেড়ে বাঁচাতে' দিলীপদা আনন্দ পেয়েছেন এতেই আমি আনন্দিত!' নিজের বক্তব্যে অনড় বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন,'আমার জানা নেই। আমি তো মন্ত্রী নই বলতে পারব না। যে যার মতো করে ব্যাখ্যা করতে পারেন। আমি দলের তরফে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। পাবলিকও বোঝে। আমাদের কর্মীরাও বোঝেন, আমি কী বলতে চেয়েছি।'
সদ্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাবুল (Babul Supriyo)। তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল বলেও ইঙ্গিত দেন। এনিয়ে নিজের দুঃখও গোপন করেননি। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন,'তাঁকে স্যাক করলে কী ভালো হত? পদ্ধতি মেনেই হয়েছে। আপনি পদ ছেড়ে দিন। অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। কই কেউ তো এমন লেখেননি।' পরে 'মর্নিং ওয়াকে' গিয়ে দিলীপসুলভ টিপ্পনী কাটেন,'বাবুল সক্রিয় মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তো কম গালমন্দ করেননি। এখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।' মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্য ভালো চোখে দেখছেন না বাবুল। ফেসবুকে তিনি লেখেন,'রাজ্য সভাপতি হিসেবে 'মনের আনন্দে' দিলীপদা অনেক কিছুই বলেন। আবারও বললেন, আমি শুনলাম। কিন্তু এই উক্তিটি কেন করলেন সেটা যদি এবারকার জন্য আমি 'স্বজ্ঞানে' বুঝেও না বুঝি তো ক্ষতি কি? এটাই আমার প্রতিক্রিয়া ! আমার 'হাঁফ ছেড়ে বাঁচাতে' দিলীপদা আনন্দ পেয়েছেন এতেই আমি আনন্দিত! উনি রাজ্য সভাপতি - সবার শ্রদ্ধার পাত্র! আমিও আন্তরিক শ্রদ্ধা জানালাম প্রিয় দিলীপদাকে!'
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ব্যাখ্যা দেন,'আমি বলতে চেয়েছিলাম, বাবুল সুপ্রিয় মন্ত্রী না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তো সারাক্ষণ বাবুলকে গালমন্দ করতেন। এখন শুনছি সমবেদনা জানিয়েছেন। কেন সমবেদনা জানিয়েছেন বুঝলাম না। মুখ্যমন্ত্রীর তো হাঁফ ছেড়ে বাঁচার কথা। এটাই বলতে চেয়েছিলাম। কে কী ভাবে এর ব্যাখ্যা করেছেন জানি না।'
আরও পড়ুন- কেন্দ্র না রাজ্য, পেট্রোল-ডিজেলের করে কার অংশ বেশি? Firhad-Dilip দাবি-পাল্টা দাবি