বেহালা রহস্য মৃত্যুর ময়না তদন্ত, একজনই প্রত্যেকের শ্বাসনালী কেটেছে বলে অনুমান

বেহালার চারজনের খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেল পুলিস। চারজনকেই প্রথমে ভারি অস্ত্রের আঘাত করা হয়। শ্বাসরোধেরও প্রমাণ মিলেছে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি কাটা হয়। অস্ত্রের আঘাত এবং পারদর্শিতা দেখে চিকিত্সকদের অনুমান একই অস্ত্রে একজনই প্রত্যেকের শ্বাসনালী কেটেছে।

Updated By: Sep 7, 2012, 10:52 PM IST

বেহালার চারজনের খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেল পুলিস। চারজনকেই প্রথমে ভারি অস্ত্রের আঘাত করা হয়। শ্বাসরোধেরও প্রমাণ মিলেছে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি কাটা হয়। অস্ত্রের আঘাত এবং পারদর্শিতা দেখে চিকিত্সকদের অনুমান একই অস্ত্রে একজনই প্রত্যেকের শ্বাসনালী কেটেছে। কারোরই শরীরেই কোনও মাদক বা বিষ পাওয়া যায়নি। সবারই পাকস্থলি ফাঁকা ছিল। অর্থাৎ দুপুরের খাওয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর এই খুনের ঘটনা ঘটে। তারমধ্যে খাবার হজম হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আনুমানিক বিকেল পাঁচটা নাগাদ খুনগুলি করা হয়।  
এছাড়াও, তদন্তের ফলে পুলিস আরও কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিসের ধারণা পরিচিত কোনও ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত। একাধিক আততায়ী ঘটনাস্থলে ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে। যে কাপগুলি পাওয়া গিয়েছিল তা ব্যবহৃত হয়নি। আততায়ীরা পরিকল্পিতভাবে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার জন্যই চায়ের কাপ, অবিন্যস্ত আলমারি সাজিয়ে রাখে।
বাড়ির দোতলার বেসিনে রক্তের দাগ পেয়েছে পুলিস। তাদের ধারণা খুনের পর রক্তের দাগ ধোয়ার চেষ্টা করেছে খুনিরা। যেভাবে চারজনকে খুন করা হয়েছে, তাতে পেশাদারি দক্ষতার প্রমান মিলেছে। পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ও সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছে গৌরী ভট্টাচার্য এবং তাঁর ছেলে দীপককে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিসের। জমি ও ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু বিরোধের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই অনুসারে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন গোয়েন্দারা।

.