WB Panchayat Election 2023: 'কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি ঠিক করে মোতায়েন হত, তাহলে এতগুলি প্রাণহানি ঘটত না'!
'যেখানে এই লুঠ সংগঠিত হয়েছে, যেখানে ভোটের আগেই ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই সমস্ত জায়গায় পুর্ননির্বাচন করতে হবে', বললেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
![WB Panchayat Election 2023: 'কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি ঠিক করে মোতায়েন হত, তাহলে এতগুলি প্রাণহানি ঘটত না'! WB Panchayat Election 2023: 'কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি ঠিক করে মোতায়েন হত, তাহলে এতগুলি প্রাণহানি ঘটত না'!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/07/08/428713-evff.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে বেলাগাম সন্ত্রাস! 'কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যদি ঠিক করে মোতায়েন করা হত, তাহলে এতগুলি প্রাণহানি হত না', বললেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
পঞ্চায়েত ভোটে যখন প্রথম থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছিল বিরোধীরা, তখন নীতিগত কারণে আপত্তি ছিল শাসকদলের। বস্তুত, রাজ্য পুলিস দিয়েই ভোট করানোর কথা ঘোষণাও করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বাদ সাধল আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে হল পঞ্চায়েত ভোট। তাহলে কেন জেলা জেলায় সংঘর্ষ, গুলি? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'যেখানে অবাধে ছাপ্পা চলছে, লুঠ চলছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করে বুথের কাছে পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানে
কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি। তার প্রধান কারণ, তৃণমূল সরকার ও নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করতে আগ্রহী ছিলেন না। আদালতের কারণে ও পরিস্থিতি বাধ্যবাধ্যকতয়া তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন'।
শমীকের দাবি, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার নাম করে যে প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি করেছিলেন, তার কারণে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারেনি। যদিও সে বাহিনী এসেছিল, তারা কাজে লাগলেও পশ্চিমবঙ্গে এক দফায় একদিনে নির্বাচন সম্ভব ছিল না। শুধুমাত্র নিজের ইগোর কারণে, প্রাতিষ্ঠানিক লুঠকে পঞ্চায়েতের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এই নির্বাচনটা করা হয়েছে'।
এদিন পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত সন্ত্রাসের খতিয়ে তুলে ধরেন শমীক। তিনি জানান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে। আমরা জানি নির্বাচন কমিশনের কাছে গেলে ফল কী হবে। তাও আমরা তো হাতে অস্ত্র নিয়ে চোখে বদলে চোখে রাজনীতি করতে নেমে যায়নি সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যে থেকে। আমরা চাই, যেখানে এই লুঠ সংগঠিত হয়েছে, যেখানে ভোটের আগেই ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই সমস্ত জায়গায় পুর্ননির্বাচন করতে হবে।
সংখ্যা কত, আমরা পুর্ননির্বাচনের দাবি জানাব, বেশি রাতে আগে বলা সম্ভব নয়'।