বিজেপিই প্রধান প্রতিপক্ষ, পুরভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিজেপিই প্রধান প্রতিপক্ষ। পুরভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভার প্রতি ওয়ার্ডের বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। টার্গেট করেছেন বিজেপির অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ককেও।
ওয়েব ডেস্ক: বিজেপিই প্রধান প্রতিপক্ষ। পুরভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভার প্রতি ওয়ার্ডের বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। টার্গেট করেছেন বিজেপির অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ককেও।
সোমবার কালীঘাটে দেড়ঘণ্টা ধরে চলে তৃণমূলের পুর পর্যালোচনা বৈঠক। এই দেড়ঘণ্টায় একবারের জন্যেও বিজেপির নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। কিন্তু, তার ভাষণের প্রায় পুরোটি ঘিরেই ছিল গেরুয়া কাঁটায় আশঙ্কা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচার চালাতে হবে সাংসদ থেকে বিধায়ক, কাউন্সিলর থেকে মেয়র পারিষদ, সকলকেই বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে হবে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে হবে দলের শাখা সংগঠনগুলিকেও।
বিজেপিকে রোখার স্ট্র্যাটেজি তৈরির দায়িত্ব বর্তেছে মুকুল রায় নেতৃত্বাধীন দলের নির্বাচনী কমিটির ওপরেই। এর বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সৌগত রায়কে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সৌগত রায়কে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার পুস্তিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপিকে রুখতে, কলকাতায় তৃণমূলের সাংগঠনিক কিছু পরিবর্তনও করা হয়েছে।
উত্তর কলকাতার কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে তাপস রায় এবং অশোক চক্রবর্তীকে উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডগুলিতে ভোট বাড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
বিজেপির একচেটিয়া ভোটব্যাঙ্ককেও নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি নিয়েও রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের ২৬ ওয়ার্ডে বিজেপি কী করে ভোট বাড়াল তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।