Malda Student Death: ৫ বছর পার, ছাত্রীর মৃত্য়ুতে সিবিআইকে নোটিস ইস্যুর নির্দেশ হাইকোর্টের
২০১৮ সালের ৩০শে অক্টোবর স্কুলেই হস্টেলের ৫ তলা থেকে মৃত্যু হয় নাজিমা খাতুনের। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানিয়েও সুবিচার মেলেনি!
![Malda Student Death: ৫ বছর পার, ছাত্রীর মৃত্য়ুতে সিবিআইকে নোটিস ইস্যুর নির্দেশ হাইকোর্টের Malda Student Death: ৫ বছর পার, ছাত্রীর মৃত্য়ুতে সিবিআইকে নোটিস ইস্যুর নির্দেশ হাইকোর্টের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/06/30/427765-acourt.png)
অর্ণবাংশু নিয়োগী: মালদহের স্কুলে ছাত্রীর মৃত্যু। কীভাবে? মুখ্য়মন্ত্রীর দফতরে জানিয়েও সুবিচার মেলেনি! সিবিআইকে এবার নোটিশ ইস্যু করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: Sabang: ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? মুখ খুললেন বিজেপি কর্মী দীপক সামন্তর মা!
৫ বছর পার। মালদহের কালিয়াচক আবাসিক মিশন স্কুলের ছাত্রী ছিল নাজিমা খাতুন। একাদশ শ্রেণিতে পড়ত সে। ২০১৮ সালের ৩০শে অক্টোবর হস্টেলের ৫ তলা থেকে পড়ে যায় নাজিমা। অভিযোগ, বাড়িতে খবর না দিয়েই ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শেষপর্যন্ত যখন এক অভিভাবকের কাছ থেকে খবর পেয়ে যখন হাসপাতালে পৌঁছন বাড়ির লোকেরা, ততক্ষণের মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
কীভাবে মৃত্যু? পরিবারের লোকেদের দাবি, স্কুল তরফে জানানো হয়, হস্টেলের পাঁচ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাজিমা। অথচ দেহের কোথাও আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না! স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধ ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় কালিয়াচক থানায়। পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই আবাসিক স্কুলটি যিনি চালান, তিনি প্রভাবশালী। সেকারণেই ৩০৬ এবং ১২০ ধারায় মামলায় রুজু করে পুলিস। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। বাকিরা নিরুদ্দেশ। বস্তুত, নিম্ন আদালতে চার্জশিটে সেকথাও উল্লেখ করেছিল পুলিস।
তারপর? মেয়ের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর যখন নিম্ন আদালতের রায় পুর্নবিবেচনার আর্জি জানানো হয়, তখন সেই আবেদন মঞ্জুর করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তদন্তভার থাকে পুলিসের হাতেই। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন: BJP Flag: বিজেপির পতাকায় আটকে কন্ডোম! জলপাইগুড়িতে ভোটের আগে ছড়াল চাঞ্চল্য
এদিন শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, 'একজন মানুষ যদি পাঁচ তলা ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে তাহলে শরীরের হাড় আস্ত থাকে না। কিন্তু ময়নাতদন্তে রিপোর্টে তেমন কিছু উল্লেখ করা হয়নি। বরং হাড়ে কোনও আঘাত নেই বলেই উল্লেখ করা হয়েছে'। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার পর অনেকক্ষণ জীবিত ছিল ওই ছাত্রী। কিন্তু তার মৃত্য়ুকালীন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি।