গৌতম দেবকে ফের তলব সিআইডির

ফের গৌতম দেবকে জেরার চিঠি পাঠাল সিআইডি। ১৮ জুলাই সিআইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তলব করা হল তাঁকে। তবে নির্বাচনী প্রচারের কর্মসূচি থাকায়, ওই দিন তিনি যেতে পারবেন না ভবানী ভবনে। জানিয়েছেন প্রাক্তন আবাসমন্ত্রী।

Updated By: Jul 12, 2013, 11:01 PM IST

ফের গৌতম দেবকে জেরার চিঠি পাঠাল সিআইডি। ১৮ জুলাই  সিআইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের  তলব করা হল তাঁকে। তবে নির্বাচনী প্রচারের কর্মসূচি থাকায়, ওই দিন তিনি যেতে পারবেন না ভবানী ভবনে। জানিয়েছেন প্রাক্তন আবাসমন্ত্রী।
প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আবাসন দফতরের জমি বিলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আনেন ওই দফতরের সচিব। ২১ জুন ভবানী ভবনে তাঁকে একপ্রস্থ জেরাও করা হয়। কিন্তু উল্লখযোগ্য কোনও তথ্য পায়নি সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরির চাপ আসছে মহাকরণ থেকে। সেই কারণেই দ্বিতীয়বার তলব। যত দ্রুত সম্ভব গৌতম দেবের বিরুদ্ধে আবাসন জমি মামলায় চার্জশিট পেশ করুক সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, প্রতিদিনই এই বার্তা আসছে মহাকরণ থেকে। 
গৌতম দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আবাসন মন্ত্রী থাকাকালীন  একটি বেসরকারি সংস্থাকে মহেশতলার একটি জমি পিপিপি মডেলে আবাসন তৈরি করার জন্য দেওয়া হয়। অভিযোগ, ওই প্রকল্পে টেন্ডার ডাকা হয়নি। সিআইডির প্রথম জেরার দিন গৌতম দেব জানান, জমিতে রাস্তা না থাকার কারণে অন্য কোনও সংস্থা প্রকল্প গড়তে রাজি হয়নি। সেকারণে জমি বেঙ্গল গ্রিনফিল্ড সংস্থাকে দেওয়া হয়।  
রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ মনে করছে, এই মামলায় গৌতম দেবকে চার্জশিট দেওয়ার মতো কোনও তথ্য গোয়েন্দা দফতরের হাতে নেই। কিন্তু মহাকরণ নাছোড়। প্রতিদিন চাপ বাড়ছে রাজ্য গোয়েন্দা প্রধান শিবাজী ঘোষের ওপর। মহাকরণ-ভবানী ভবন দ্বৈরথ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যার জেরে গোয়েন্দা প্রধানের পদ ছাড়তে চাইছেন এক সময় মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আইপিএস অফিসার শিবাজি ঘোষ। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই মর্মে রাজ্য পুলিসের ডিজির কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মহাকরণের চাপেই দ্বিতীয় বার জেরার জন্য ডাকা হচ্ছে গৌতম দেবকে। তাঁকে ১৮ জুলাই জেরা করা হবে। এর ঠিক পরদিনই ১৯ জুলাই উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। গৌতম দেব এই জেলার সিপিআইএম সম্পাদক। তবে এই প্রথমবার নয়। গত দুবছরে মহাকরণ থেকে একের পর এক সুপারিশ এসেছে পুলিসের শীর্ষকর্তাদের কাছে। তিতিবিরক্ত অনেক অফিসারই রাজ্য ছাডার তালিকায় নাম লেখাচ্ছেন। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কলকাতা পুলিসের প্রাক্তন কমিশনার আর কে পঞ্চনন্দা। গার্ডেনরিচে পুলিস খুনের ঘটনার পর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেন তিনি। ক্ষিপ্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত করেন তাঁকে।  উনিশশো তিরাশির ব্যাচের এই অআইপিএস অফিসার
সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান। ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার হওয়া সত্ত্বেও চিঠিতে তিনি লেখেন, আই জি পদে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে যোগ দিতে রাজি তিনি।
 
এই মুহুর্তে রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের কাছে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসার আবেদন জানিয়ে রেখেছেন। তবে ছাড়পত্র পেয়েছেন একমাত্র কুলদীপ সিং। তবে আরেক এডিজি অরুণ গুপ্তর আর্জি মঞ্জুর হয়নি। ইতিমধ্যেই যাঁরা সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে চলে গেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এস জযরামন, বিডি শর্মা, এবং সুরিন্দর সিং। রাজ্যের আরও তিন জন অফিসার রাজ কানোজিয়া, অনিল কুমার, রাজশেখর রেড্ডি রাজ্য ছাড়ার ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায়। এই তালিকায় নতুন নাম শিবাজী ঘোষ।
 

.