রাজ্যপালের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ! প্রয়োজনে আন্দোলনে নামতে পারেন Mamata: সূত্র
জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনছে তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠাবে কার্যত মুখ ফিরিয়েছিলেন। কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে রাজ্যপালের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Supremo Mamata Banerjee)। এমনকী, রাজ্যপালকে সরাতে প্রয়োজনে আন্দোলনে নামতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয়, জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) অপসারণ চেয়ে রাজ্যসভায় প্রস্তাব আনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল (TMC)। সূত্রের খবর তেমনই।
আর বেশি দেরি নেই। 1 ফ্রেরুয়ারি সংসদের বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। করোনা পরিস্থিতিতে এখন রীতিমতো চাপে মোদী সরকার। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর যখন সবেমাত্র ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল দেশের অর্থনীতি, তখনই আছড়ে পড়ল তৃতীয় ঢেউ। সূত্রের খবর, এবার বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়তে পারে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। ১৮ হাজার কোটি টাকা কাছাকাছি প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ১ ফ্রেরুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদের বাজেট অধিবেশন।
এই বাজেট অধিবেশন তৃণমূলের ভূমিকা কী হবে? এদিন কালীঘাটে রাজ্যসভার ও লোকসভা সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে রাজ্যপালের প্রসঙ্গও ওঠে। তৃণমূলনেত্রী বলেন, এ রাজ্যে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল। তাঁর অপসারণ চেয়ে চারবার চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালকে সরানো হয়নি।
কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? বৈঠক শেষে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর পর্যায়ের পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে হিউম্যান রাইটস কমিশন তৈরি করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমাদের মনে হচ্ছে, রাজ্যপালকে যেন নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে যে, রাজ্য সরকারকে বিব্রত কর। একটি সরকারকে সম্পর্কে প্রতিনিয়ত যে মনোভাব, যেভাবে যেপদ্ধতিতে তাদের প্রতিটি কাজকর্মে আঘাত করার চেষ্টা করছেন, সেগুলি সম্পর্কে আমাদেরকে আরও বেশি যুক্তি দিয়ে, লোকসভায় কীভাবে, এ বিষয়ে রাজ্যসভায় কীভাবে সেন্সর মোশন করে উঠানো যায় কিনা, তা নিয়ে ভেবে দেখা হবে'।
আরও পড়ুন: “কমিউনিস্টরা কাঁকড়ার মত,” দাবি Dilip Ghosh-র
বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত লেগেই থাকে। মঙ্গলবার আবার বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী বিধানসভা স্পিকারকেও নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়। এরপর বুধবার রেড প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ও সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে কার্যত কোনও বাক্যলাপই হয়নি! বরং ক্যামেরায় ধরা পড়ে, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছেন। জবাবে মমতা কী বললেন, তা কিন্তু বোঝা গেল না। আগাগোড়া কার্যত মুখ ফিরিয়েই থাকেন তিনি।