উপাচার্য নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সরকারের ভূমিকায়
একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার নিজেদের পছন্দমত উপাচার্য নিয়োগের পথে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে নয়া সরকারের দলতন্ত্রমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার নিজেদের পছন্দমত উপাচার্য নিয়োগের পথে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।ফলে নয়া সরকারের দলতন্ত্রমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রাজ্যের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে উপাচার্য থেকে গ্রুপ-ডি সমস্ত পদেই নিয়োগের ক্ষেত্রে দলতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল। কিন্তু নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়-সব ক্ষেত্রেই একই অভিযোগের প্রতিধ্বনী শোনা গিয়েছে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। কারণ, প্রতি ক্ষেত্রেই সরকার পছন্দমত ব্যক্তির নাম রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছে। এবং সেই ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু এই সব ক্ষেত্রে আগে কী নিয়ম মানা হত?
সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণ কমিটি এক জন বা সর্বোচ্চ তিন জন যোগ্য ব্যক্তির নাম সরকারের কাছে পাঠাত। সরকারের তরফে তা পাঠান হত রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল সেই তালিকা থেকে একজনকে মনোনীত করতেন। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রেসিডন্সির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের দাবি, মেন্টর গ্রুপের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে সরকার। আসলে রাজ্যপালের বিশেষ অনুরোধের জন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণ সংস্থাই এখন উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। ফলে দলতন্ত্রের অবসানের নামে এ কোন গণতন্ত্র মেনে চলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।